ইঞ্জিনে আগুন ধরে যাওয়ায় বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়েছে ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় বিমান পরিষেবা সংস্থা গারুদার একটি বিমান।
বুধবার (১৫ মে) বিকেল সোয়া ৫টার দিকে ঘটেছে এই ঘটনা। বোয়িং ৭৪৭-৪০০ সিরিজের বিমানটি ইন্দোনেশিয়ার মাকাসার শহর থকে মদিনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিল। বিমানটিতে ৪৬৮ জন হজযাত্রী ছিলেন।
গারুদার নির্বাহী পরিচালক ইরফান সেতিয়াপুত্রা এক বিবৃতিতে বলেন, ‘বিমানটি উড্ডয়নের পরপরই সেটির একটি ইঞ্জিনে আগুন ধরে যায়। সম্ভবত ফ্লাইট শুরুর আগে সেটি ভালোভাবে পরীক্ষা করা হয়নি। আগুন দেখতে পাওয়া মাত্র তাৎক্ষণিক বিমান অবতরণের সিদ্ধান্ত নেন পাইলট।’
বিমানটিতে ৪৫০ জন হজযাত্রী ছাড়াও ১৮ জন ক্রু ছিলেন। তবে তাদের কেউই হতাহত হননি। ইরফান জানিয়েছেন, বিমানটি অবতরণের দুই ঘণ্টার মধ্যে যাত্রীদের জন্য নতুন আরেকটি বিমানের বন্দোবস্ত করেছে গারুদা। সেইসঙ্গে মেরামতের জন্য গ্রাউন্ডেড করা হয়েছে আগুন লাগা বিমানটিকে।
উল্লেখ্য, গারুদার ৬০ শতাংশ শেয়ারের মালিক ইন্দোনেশিয়ার সরকার। করোনা মহামারির সময় ভ্রমণ নিষেধজ্ঞার কারণে ব্যাপকমাত্রায় আর্থিক লোকসানের শিকার হয়েছে এই পরিষেবা সংস্থাটি। সেই ক্ষয়ক্ষতির ধাক্কা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে ওঠা সম্ভব হয়নি তাদের পক্ষে। বিশ্বের বৃহত্তম দ্বীপরাষ্ট্র ইন্দোনেশিয়ায় শত শত দ্বীপ রয়েছে। এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতে বিমানের ওপর নির্ভর করেন দেশটির বাসিন্দারা। তবে গত দুই বছরে কয়েকটি বিমান দুর্ঘটনা ঘটায় অভ্যন্তরীণ ভ্রমণের ক্ষেত্রে আকাশপথে যাত্রা এড়িয়ে চলছেন অনেক ইন্দোনেশীয়।