ফরিদপুরের সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের চাঞ্চল্যকর মহিলা মেম্বারকে হত্যাচেষ্টা মামলার প্রধান আসামি খোকন মোল্যাসহ সকল আসামিদের কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন আটঘর ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণ। তারা বলেন আসামিদের বিরুদ্ধে অন্যের জমি দখল করা, প্রতিবেশিদের বঊ ভাগিয়ে নিয়ে বিয়ে করা, হত্যামামলা, সমাজের বিশৃঙ্খলাসৃষ্টিকরা ও তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাদেরকে মিথ্যা মামলাদিয়ে হয়রানিকরাসহ সন্ত্রাসীকার্যকলাপে আসামিদের বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক অভিযোগ।
শনিবার (১৮মে) আটঘর এলাকায় সরেজমিনে গেলে এসব তথ্য জানান ওই এলাকায় বসবাসরত স্থানীয় ব্যক্তিরা। এসময় পুটিয়া ২নং ওয়ার্ডের আ.লীগের সহসভাপতি হারুন মাতুব্বর জানান, মহিলা মেম্বারকে হত্যাচেষ্টা মামলার আসামিরা সবাই সমাজের বিশৃঙ্খলাসৃষ্টিকারী। তাদের সন্ত্রাসীকার্যকলাপে সমাজের অধিকাংশ মানুষ অতিষ্ঠ। তিনি বলেন আসামিদের উপযুক্ত বিচার নাহলে আসামিরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে এবং এলাকায় ব্যাপক অশান্তি সুষ্টি করবে।
আটঘর উচ্চ বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি মজিবর রহমান জানান, এই ইউনিয়নের অল্পকিছু খারাপ মানুষ ব্যাতিত সবাই এই আসামিদের কঠিন শাস্তি কামনা করছেন। এসময় তিনি এই মামলার ৬জন আসামিদের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃত মামলার প্রধান আসামি খোকন মোল্য কে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য অনুরোধ জানান।
জানা যায়, আসামিরা গত রোববার (১২ মে) রাত পৌনে ৮টার দিকে পুটিয়া মাঠ সংলগ্ন পাকা রাস্তার ওপর ফাঁকা জায়গায় সালথা উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের ১.২.৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী আসনের মহিলা মেম্বার মোসা: রাজিয়া বেগমের কপালে পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে হত্যাচেষ্টা চালায়। এসময় মহিলা মেম্বারের ভ্যানে থাকা অন্যান্য যাত্রীদের শোর চিৎকার ও দুর থেকে অন্যান্য গাড়ী আসা দেখে আসামিরা মহিলা মেম্বারকে কিলঘুষি মেরে তার গলায় থেকে স্বর্ণের চেইন ছিরে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
পরদিন মহিলা মেম্বার বাদি হয়ে দুইজন অজ্ঞাতসহ মোট ৬ জনকে আসামি করে সালথা থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। এই মামলায় এপর্যন্ত পুলিশ খোকন মোল্যা নামে এক আসামিকে গ্রেফতার করেছে। বাকি আসামিদের গ্রেফতারে পুলিশ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।