বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫ ১২ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ২৬ জুন ২০২৫
‘একটা সরকারি ঘর পাইলে মাথা গোঁজার ঠাই পাইতাম’
শেরপুর জেলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: শনিবার, ৬ জুলাই, ২০২৪, ১০:৪৯ AM
রাতে জেগে থাকি,ঘুমাইনা। যদি নদী ঘরটা ভাইঙ্গা নেয়। নিতে নিতে সব নিছেগা এহন শুধু থাহনের ঘরটাই আছে। কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মরিচপুরান ইউনিয়নের ফকিরপাড়া গ্রামের অসহায়  বিধবা আছিয়া বেগম (৭০)।

তিনি বলেন, সরকার কত মাইনষেরে ঘর দিতাছে আমি পরিবার নিয়া এত কষ্ট করতাছি কেউ তো কিছু দেয় না। জমিসহ একটা সরকারি ঘর পাইলে মাথা গোঁজার ঠাই পাইতাম।

সন্তান-নাতিসহ ৪ জনের পরিবার নিয়ে ভোগাই নদীর তীরে আছিয়া বেগমের বাস। প্রতিবছরই উজান থেকে নেমে আসা ঢল আর অবৈধ বালু উত্তোলনের ফলে আছিয়া বেগমের বাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের পথে। ভিটেমাটি ছাড়া আর কিছুই নেই আছিয়া বেগমের। অন্যের বাড়িতে কাজ করে কোন মতে দিন কেটে গেলেও জমি কিনে বাড়ি করা তার পক্ষে সম্ভব না। তাই সরকারি সহযোগিতার আশা করছেন পরিবারটি।

আছিয়া বেগমের ছেলে বজলুর ইসলাম ফকির কিডনি রোগী হওয়ায় কোনো কাজ করতে পারেনা। ফলে বিধবার একার উপার্জনে চলে সংসার। বজলুর ইসলাম বলেন, আধা ভাঙ্গা এই ভিটা ছাড়া আমাদের আর কিছু নেই। বছর-বছর নদী ভাঙ্গনের ফলে এঘরটিও ভেঙ্গে যাবে। তাই আমরা সরকারী সহযোগিতা চাই। 

স্থানীয়রা বলেন, পরিবারটি খুবই অসহায়। দীর্ঘদিন ধরে তারা অনেক কষ্টে জীবন যাপন করে আসছেন। ভোগাই নদীর তীব্র ভাঙ্গনের ফলে আজ তারা নিঃস্ব। তাদেরকে সরকারী জমিসহ ঘর দেওয়ার দাবি জানাই।

সম্প্রতি অতি বৃষ্টি ও পাহাড়ী ঢলে আছিয়ার বাড়ির পাশে ৫০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে আছিয়াসহ ১৫-২০টি পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়ে। থাকার ঘরটি বিলিন হওয়ার আশঙ্কা করছে আছিয়ার পরিবার।

এ ব‍্যাপারে নালিতাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুদ রানা সাংবাদিকদের বলেন, এবিষয়ে আমি অবগত নই। পরবর্তীতে খোঁজ নিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত