চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানার মৌলভী পুকুরপাড় এলাকায় আজাদ হোসেন নামের এক স্ত্রীর কাছে ২০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি ও বাড়ি ঘরে ব্যাপক লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনায় নগরীর চান্দগাঁও থানায় চারজনের নাম উল্লেখ করে আজ্ঞাত আরো ২০/৩০ জনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৯ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ বুলেটিনকে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর। শনিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রবাসী আমজাদ হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মাময়াত আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল হক (৬০), মো. জিয়াউল হক ফয়সাল (৩৪), মো. হারুন, মুকিদুল হক। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা ২০/৩০ আসামি রয়েছে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে- আসামীরা দীর্ঘদিন প্রবাসির কলোনী থেকে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদাদাবী করে আসছিলেন৷
রোববার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় ২৫/৩০ অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীসহ চিহ্নিত আসামীরা বাদির মালিকানাধীন আজাদ কলোনির প্রধান ফটকে ধাকাধাক্কি শুরু করলে ভাড়াটিয়ারা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এসময় দুষ্কৃতকারীরা নিজেদের সেবাবাহিনীর লোক পরিচয় দিয়ে জোর পূর্বক কলোনীতে প্রবেশ করে৷
এসময় পাশে থাকা কেয়ারটেকার ও তার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে সন্ত্রাসী কার্যকলাপের প্রতিবাদ করলে তারা মারমুখী হয়ে হত্যার হুমকি দিয়ে মালিকের কাছ থেকে ২০ লাখ টাকা চাঁদা এনে দিতে বলে।
তখন কেয়ারটেকার দেশে থাকা বাদির স্ত্রীকে ফোন করে ঘটনাটি জানান। বাদির স্ত্রী আমাকে প্রবাসে ফোন করে বিষয়টি জানান। বাদি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি থানাকে অবগত করে। পুলিশের পরামর্শে বাদির স্ত্রী, ছেলে ও ভাই-বোনকেসহ ঘটনাস্থলে যেতে বলেন।
বাদির স্ত্রী, ছেলে ও ভাই-বোনসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আইনের আশ্রয় নেওয়ার কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে তাদেরকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এসময় আসামীদের সাঙ্গপাঙ্গরা হাতে থাকা অস্ত্রশস্ত্র ও লাঠিসোটা দিয়ে আমার কলোনির গেট ভাঙচুর করে ভাড়াটিয়াদের জিনিসপত্র ছুড়ে ফেলে। তাদের কলোনি ছেড়ে দিতে বলে।
চাঁদা না দিয়ে কলোনিতে কোনো ভাড়াটিয়া রাখা যাবে না। ইতোমধ্যে বাদির স্ত্রী তাকে আবার ফোন দিলে ঘটনার অবনতির বিষয়টি জানালে নিজেদের শেষ সম্বল বাঁচাতে বাদি ৪ সেপ্টেম্বর দেশে এসে পৌঁছে৷
বাদী আমজাদ হোসেন বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, আসামিরা আমার কলোনির গেট, ৩৪টি গ্যাসের সিলিন্ডার (চুলাসহ), পানির মোটর, সিসি ক্যামেরা, মনিটর, ওয়াইফাই রাউটার ইত্যাদি ভাঙচুর করে নিয়ে যায়। তারা বার বার আমাকে হুমকি ধমকি দিয়েই চলেছে৷ যেহেতু তারা সেনাবাহিনীর পরিচয় দিয়েছিল তাই আমি ইতিমধ্যে বিষয়টি চট্টগ্রামের উর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তাদের অবহিত করেছি৷
চান্দগাঁও থানার ওসি জাহিদুল কবীর বাংলাদেশ বুলেটিনকে বলেন, থানায় মামলা দায়ের হয়েছে৷ আমরা আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলমান রয়েছে। আসামীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থাব গ্রহণ করা হবে৷