চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) ক্যাম্পাসে “কমপ্লিট শাটডাউন” ঘোষণা করেছে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বারবার আল্টিমেটাম দেয়ার পরেও চবি উপাচার্য ও উপ-উপাচার্য নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি না হওয়ায় তারা এই ঘোষণা দিয়েছেন। তবে ক্যাম্পাসে চিকিৎসা এবং অন্যান্য জরুরি সেবাগুলো শাটডাউন এর আওতামুক্ত থাকবে।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) বিকাল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনার চত্বরে এক বিক্ষোভ সমাবেশে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন তারা।
চবি শিক্ষার্থী হাবিব উল্যাহ খালেদের সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন আহসান উল্যাহ হৃদয় এবং নেয়ামত উল্যাহ ফারাবি।
এসময় চবির ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী নেয়ামত উল্যাহ ফারাবি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক এবং প্রশাসনিক কার্যক্রম হলো প্রধান দুটি স্তম্ভ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রযেছে। আমরা পড়ার টেবিলে ও ক্লাসরুমে থাকার কথা। কিন্তু এমন অচলাবস্থা সৃষ্টি করা হয়েছে যে আমরা পড়াশোনা রেখে রাজপথে আন্দোলনে নামতে বাধ্য হয়েছি।
একাডেমিক কার্যক্রম ছাড়া প্রশাসনিক কার্যক্রমের কোনো মূল্য নেই উল্লেখ করে ফারাবি বকেন, আমরা দেখেছি উপাচার্য না থাকলেও বিনা বাধায় বিভিন্ন আর্থিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তাছাড়া বিভিন্ন কমকর্তা ও কর্মচারীদের বদলিও এই বন্ধ ক্যাম্পাসে নির্বিঘ্নে হয়েছে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে যারা কূটকৌশল অবলম্বন করছে তাদেরকে ছাড় দেওয়া হবে না। জাতির কাছে তাদেরকে জবাব দিতে হবে। পাশাপাশি ফ্যাসিস্টের কোনো দোসরকে যদি নিয়োগ দেওয়া হয়, শিক্ষার্থীরা সেটা প্রতিহত করতে প্রস্তুত রয়েছে।
ফারাবি আরও বলেন, উপাচার্যের প্রজ্ঞাপন না আসা পর্যন্ত ক্যাম্পাস কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করছি আমরা। এখন থেকে প্রশাসনিক ভবন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল দুই ফটক বন্ধ থাকবে। উপাচার্য নিজে এসে তালা খুলে ক্যাম্পাসে ঢুকবেন। এভাবে আর চলতে দিবো না আমরা।
এর আগে সকাল ১০টায় চবির জিরো পয়েন্টে একই দাবিতে আন্দোলন করেন শিক্ষার্থীরা। তবে সারাদিনেও কোনো ফলাফল না আসায় এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে বলে জানান আন্দোলনকারীরা।
আন্দোলনকারীরা শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ সমাবেশ এসে একটি মিছিল নিয়ে চবির প্রশাসনিক ভবনে তালা দেন। পরে তারা চবির দুই নম্বর গেট এবং জিরো পয়েন্টে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরী যেকোনো পরিবহন শাটডাউনের আওতামুক্ত থাকবে বলে জানান শিক্ষার্থীরা।