কোচিং সেন্টারের দরজার বাইরে পড়েছিল একটি খাম। খামের উপর কোনো নাম-ঠিকানা লেখা ছিল না।
খামটি হাতে পড়ে কোচিং সেন্টারের মালিকের। খাম খুলে তিনি দেখেন ভেতরে একটি পেন ড্রাইভ। আর এটি কম্পিউটারে লাগাতেই একটি ভিডিও ফাইল খুলে যায়।
ভিডিওটি চালু করতেই চমকে যান কোচিং সেন্টারের মালিক। তার কোচিং সেন্টারের ভেতরেই এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হচ্ছেন শিক্ষক।
ভিডিওতে দেখা যায়, এক ছাত্রীকে বুকের কাছে টেনে জড়িয়ে ধরছেন সাহিল। তারপর ছাত্রীর মাথায় চুমুও খেলেন তিনি। কিছুক্ষণ খোশমেজাজে গল্প করার পর আবার ছাত্রীর এক গালে চুমু এঁকে দিলেন সাহিল। কয়েক মুহূর্ত একসঙ্গে সময় কাটানোর পর খোশমেজাজে গল্প করতে করতে ঘর থেকে বেরিয়ে যান শিক্ষক-ছাত্রী দু’জনেই।
ভারতের উত্তরপ্রদেশের কানপুরের একটি কোচিং সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে। সেই কোচিং সেন্টারে জীববিদ্যা পড়ান সাহিল সিদ্দিকি। কোচিং সেন্টারের ভেতর এক ছাত্রীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হতে দেখা যায় সাহিলকে। সেই সিসিটিভি ফুটেজ পেন ড্রাইভে ভরে কোচিং সেন্টারের বাইরে রেখে গিয়েছিলেন কেউ।
বেনামি খাম পড়ে থাকতে দেখে তা খুলে দেখেন কোচিং সেন্টারের অধিকর্তা। পেন ড্রাইভে পাঠানো সেই ভিডিওটি দেখে সাহিলের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সাহিলকে গ্রেপ্তার করেছে কানপুর পুলিশ।