খাগড়াছড়িতে ইউপিডিএফ'র ৩ কর্মীকে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদ ও জড়িতদের গ্রেপ্তার করে শাস্তির দাবিতে সকাল-সন্ধ্যার সড়ক অবরোধ শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩১ অক্টোবর) সকাল থেকে দীঘিনালা, পানছড়ি, রামগড়সহ জেলার বিভিন্ন এলাকায় সড়কে গাছের গুড়ি ফেলে আগুন দেয় পিকেটাররা। এছাড়া সড়কে গাছ কেটে রাস্তা অবরোধ করে অবরোধকারীরা। তবে কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি।
বুধবার জেলার পানছড়ি উপজেলায় হত্যাকান্ডের প্রতিবাদে সংগঠনটির পক্ষ থেকে বিবৃতি দিয়ে খাগড়াছড়ি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ ঘােষনা করে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে অবরোধ পালন শুরু হয়।
অবরোধ চলাকালে খাগড়াছড়ি থেকে দুরপাল্লার কোন যানবাহন ছেড়ে যেতে দেখা যায়নি। তবে জেলা সদরে স্বল্প পরিসরে ব্যাটারী চালিত টমটম চলাচল যানবাহন চলাচল করতে দেখা গেছে।
সব ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি নিয়য়ন্ত্রনে প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণপয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশসহ আইন শৃঙ্খলাবাহিনী কাজ করেছে। এছাড়া গোয়েন্দা নজরদারী বাড়ানো হয়েছে।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুল বাতেন মৃধা বলেন, অবরোধে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়।
উল্লেখ, গত বুধবার খাগড়াছড়ির পানছড়িতে প্রতিপক্ষের ব্রাশ ফায়ারে ৩ ইউপিডিএফ কর্মী নিহত হয়। পানছড়ি উপজেলাধীন লতিবান ইউনিয়নের শান্তি রঞ্জন পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে নিহত হন ৩ ইউপিডিএফ কর্মী।