নাটোরে মুখোশ পরে অস্ত্রের মুখে বাড়ির মালিককে জিম্মি করে লুট হওয়া স্বর্ণ ও নগদ টাকা উদ্ধারসহ জড়িত ৪ ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসময় ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধার করা হয়।
বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নাটোরের পুলিশ সুপার মো. মারুফাত হুসাইন এ তথ্য জানান।
এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. শরিফুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম ও অপস্) মো.একরামুল হক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নাটোর সদর সার্কেল) মাহমুদা শারমীন নেলী, নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুর রহমানসহ পুলিশের কর্তকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
গ্রেফতার ডাকাত সদস্যরা হলেন- নাটোর শহরের আলাইপুর এলাকার মৃত. আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. রনি (৩৬), শহরের তেবাড়িয়া এলাকার মৃত. হারুন আলীর ছেলে মো. সবুজ আলী (২৭), সিংড়া উপজেলার বিলদহর দড়িমহিষমারী এলাকার মো. আতারুলের ছেলে মো. এনামুল হক (২৮) এবং নওগাঁ জেলার আত্রাই উপজেলার দাড়িঁয়াগাথি এলাকার মৃত নিরেন চন্দ্রের ছেলে মিন্টু কুমার (৩২)।
পুলিশ সুপার মারুফাত হুসাইন জানান, মঙ্গলবার ভোর রাতে মীরপাড়া এলাকায় জেলা প্রাণিসম্পদ হাসপাতালের পাশে উত্তম কুমার সাহার বাড়িতে অজ্ঞাত ৫/৬ জন ব্যক্তি মুখোশ পরে হাতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তার বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় বাড়ির সবাইকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাড়ি থেকে ২ ভরি ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার ও নগদ ১১ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায়। একই সময় শহরের পালপাড়া এলাকার স্বপন কুমার কুন্ডের বাড়িতে একই কায়দায় প্রবেশ করে ৬ ভরি ৮ আনা ওজনের বিভিন্ন স্বর্ণালংকার, নগদ ৭০ হাজার টাকা, একটি মোবাইল ফোন লুট করে ডাকাতরা। এ ঘটনার পর গতকাল বুধবার বাড়ির মালিক উত্তম কুমার সাহার ও স্বপন কুমার কুন্ডু থানায় লিখিত এজাহার দায়ের করেন।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশ অফিসার-ফোর্সের সমন্বয়ে একটি চৌকস টিম গঠন করা হয়। পরে বুধবার দিবাগত রাতে অভিযান চালিয়ে নওগাঁ জেলার বিভিন্ন জায়গায় এ ঘটনায় জড়িত মূল পরিকল্পনাকারীসহ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের ৪ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় ডাকাত দলের সদস্যদের কাছ থেকে লুট করা স্বর্ণ ও নগদ টাকাসহ ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্র চাপাতি, হাসুয়া, ছোরা উদ্ধার করা হয়। এই ডাকাত দলের সদস্যরা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় সংঘবদ্ধভাবে অভিনব কায়দায় ডাকাতির মাধ্যমে মালামাল লুট করতো।
নাটোর সদর থানা পুলিশের কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহবুর রহমান বলেন, গ্রেফতার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনগত প্রক্রিয়া শেষে আদালতে নেওয়া হবে।