রবিবার ২৬ জানুয়ারি ২০২৫ ১৩ মাঘ ১৪৩১
রবিবার ২৬ জানুয়ারি ২০২৫
হাসিনার মতো বিমানের সংকেত অদৃশ্য করে পালিয়েছেন বাশার আল-আসাদ
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
প্রকাশ: রবিবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০২৪, ৪:৫৫ PM আপডেট: ০৮.১২.২০২৪ ৪:৫৮ PM
মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ সরকারের পতন হয়েছে।

বিদ্রোহীদের আক্রমণের মুখে রবিবার ভোরে রাজধানী দামেস্ক ছেড়ে অজানা গন্তব্যের উদ্দেশে পালিয়ে যান তিনি। এরপর দেশটির প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ গাজি আল-জালালিও বিদ্রোহীদের সঙ্গে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার ঘোষণা দেন। এর মধ্য দিয়ে সিরিয়ায় আসাদ পরিবারের দীর্ঘ ৫৪ বছরের স্বৈরশাসনের অবসান হয়।

পতন হয় বাশার আল-আসাদের ২৪ বছরের শাসনামলের।
আসাদ সিরিয়া ছাড়ার পর সামরিক ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা দামেস্ক বিমানবন্দর এবং প্রেসিডেন্টের বাসভবন ত্যাগ করে সরে যায়।  

গত ৫ আগস্ট বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে বিমানের সংকেত গোপন করে ভারতে পালিয়ে যান, বাশার আল আসাদও সংকেত অদৃশ্য করে দেশ ছেড়েছেন।

বিদ্রোহীরা দামেস্ক বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার কিছুক্ষণ আগে ওপেন সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকাররা সিরিয়ার আকাশসীমায় একটি বিমান উড্ডয়নের রেকর্ড করে।

এতে দেখা যায়, ইলিউশিন ৭৬ বিমানটির ফ্লাইট নম্বর সিরিয়ান এয়ার ৯২১৮। দামেস্ক বিমানবন্দর থেকে উড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইট ছিল এটি। ওই ব্যক্তিগত উড়োজাহাজটি উড্ডয়নের পর বিমানবন্দর থেকে সরকারি সেনারা সরে যায়।

ধারণা করা হচ্ছে, দামেস্ক থেকে ছেড়ে যাওয়া শেষ ফ্লাইটে অবস্থান করছিলেন আসাদ।

সোর্স ফ্লাইট ট্র্যাকারদের দাবি, এটি পূর্বদিকে উড়েছিল। তারপরে এটি উত্তরে ঘুরছিল। কয়েক মিনিট পরে, এটি হোমস শহর প্রদক্ষিণ করার সঙ্গে সঙ্গে এর সংকেত অদৃশ্য হয়ে যায়।

চলতি বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার তীব্র আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।

ছাত্র-জনতার প্রতিরোধ দেখে গণভবন থেকে কড়া নিরাপত্তা প্রহরায় বিমানবাহিনীর উড়োজাহাজে দেশ ছেড়ে পালান তিনি। হাসিনার পলায়নের পরপরই গণভবণ দখল নেয় লাখো বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা।  

হাসিনার ফ্লাইটপথ ও অবস্থান অন্যদের না জানাতে ট্রান্সপন্ডার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল ওই সময়। একটি উড়োজাহাজের অবস্থান, নাম, উচ্চতা, গতি এবং স্বয়ংক্রিয় জিওলোকেটার সিস্টেম জানাতে থাকে ট্রান্সপন্ডার। হাসিনাকে বহনকারী উড়োজাহাজটি ভারতীয় আকাশসীমার কাছাকাছি প্রবেশের আগ পর্যন্ত এর ট্রান্সপন্ডার চালু করা হয়নি।

৫ আগস্ট, আওয়ামী সরকারের পতনের পর শেখ হাসিনার বাবা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভেঙে ফেলে আন্দোলনরত ছাত্র-জনতা। ঠিক একইভাবে বাশার আল-আসাদের প্রয়াত বাবা ও দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট হাফিজ আল-আসাদের একটি মূর্তি ভেঙে ফেলেছে বিক্ষোভকারী জনতা।

দামেস্কের শহরের কেন্দ্র থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে জারমানা এলাকার একটি বড় মোড়ে মূর্তিটি স্থাপন করা ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি ভেঙে ফেলার ছবি ও ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। এছাড়া হোমস শহর থেকে হাফিজ আল-আসাদের মূর্তি ভেঙে, সেটির মাথার অংশ রশি দিয়ে গাড়ির পেছনে বেধে টেনে হিঁচড়ে নেওয়া যাওয়া হয়।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত