স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশের অনেক মিডিয়া মিথ্যা ঘটনা তৈরি করে প্রচার করছে। আমাদের দেশের গণমাধ্যমগুলোকে সত্য ঘটনা তুলে ধরতে হবে। তাহলেই তাদের অসত্য প্রচার সবার সামনে দৃশ্যমান হবে। কোনও অবস্থাতেই যেন গুজব না ছড়ায়।’
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুরে খুলনা জেলা শিল্পকলা একাডেমি অডিটোরিয়ামে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী সাম্প্রদায়িক সহিংসতার বিষয়ে মিথ্যা প্রচারণা সম্পর্কে সবাই সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘এ দেশ সবসময় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। এখানে কোনও সংখ্যাগুরু বা সংখ্যালঘু নেই, আমরা সবাই বাংলাদেশি। আইন সবার জন্য সমান। এ বছর কোনও অঘটন ছাড়াই দেশব্যাপী দুর্গাপূজা উদযাপিত হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্টের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে আমরা সরকারের দায়িত্ব নিই। এরপর আমাদের ওপর প্রত্যাশা বেড়ে যায়। সবাই চান অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত কিছু একটা করবে। আমরা চেষ্টা করছি। পরিস্থিতি উন্নতির জন্য শুধু সরকার নয়, সবাই মিলে চেষ্টা করতে হবে। তাহলে দেশ উন্নতির দিকে যাবে।’
মাদক ও ঘুষ বন্ধ করার বিষয়ে উপদেষ্টা বলেন, ‘মাদকের প্রবণতা বেড়ে গেছে। মাদকবিরোধী অভিযান জোরদার করতে হবে। মসজিদে মাদক ও ঘুষ নিয়ে আলোচনা করতে হবে। বড় ব্যাধি হলো ঘুষ। প্রতিটি জায়গায় ঘুষ। হারাম খাওয়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। নামাজ পড়ে ঘুষ খেলে আল্লাহ তাকে ছাড় দেবে বলে মনে হয় না।’
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম, খুলনা নেভাল এরিয়া কমান্ডার রিয়ার অ্যাডমিরাল গোলাম সাদেক, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের মহাপরিচালক এ কে এম শহিদুর রহমান, খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০৫ ইনফ্যান্ট্রি ব্রিগেডের কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আহমেদ তানভির মাজহার সিদ্দিকী, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার, ডিজিএফআইয়ের কর্নেল সৈয়দ আসাদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম ও পুলিশ সুপার টিএম মোশাররফ হোসেন। এতে সভাপতিত্ব করেন খুলনা রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি মো. রেজাউল হক।