মাদারীপুরের রাজৈরে বসতঘর থেকে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় এক মাদ্রাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) রাত ৭টার দিকে রাজৈর উপজেলার স্লুইসগেট নয়াকান্দি গ্রামে ওই ঘটনা ঘটে।
নিহত মাদরাসা ছাত্রীর তিশা আক্তার (১১)। সে একই গ্রামের মিলন শেখের মেয়ে। তিশা নয়াকান্দি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন। পরিবারের লোকজনের দাবি, তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে।
জানা যায়, শুক্রবার বিকেলে তিশাকে একা ঘরে রেখে তার ছোট বোনকে নিয়ে রাস্তায় যায় তার মা শাহিনুর বেগম। পরে সন্ধ্যার পরে ঘরে ঢোকার সময় কিছু জিনিস এলোমেলো দেখতে পান তিনি। এ সময় তিশার কোনো সাড়া শব্দ না পাওয়ায় ঘরে প্রবেশ করে তাকে খুঁজতে থাকেন। এক পর্যায়ে শোকেজের পাশে মুখ বাঁধা অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন।
এসময় মা শাহিনুরের চিৎকারে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে তিশাকে উদ্ধার করে রাজৈর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করেন। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হবে।
নিহত মাদরাসা ছাত্রীর মা শাহিনুর বেগম জানান, আমি বাড়ির পাশে বালুর মাঠে বসে ছোট মেয়েকে তেল মালিশ করছিলাম। এ সময় কান্না করায় তাকে নিয়ে রাস্তায় হাটতে যাই এবং আমার মেঝ মেয়ে তিশাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেই। পরে বাড়ি ফিরে দেখি গেট আটকানো ও ঘরের মেঝেতে দেয়া ছালার বস্তা আউলা-ঝাউলা অবস্থায় আছে।
ভিতরে ঢুকে দেখি শোকেজের পাশে মুখে গামছা বাঁধা অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছে তিশা। আমার মেয়েকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এমন নির্মমভাবে যে বা যারা হত্যা করেছে আমি তাদের কঠোর শাস্তি চাই।