সৌদি আরব থেকে গত ১৬ মাসে ৫,০৩৩ জন পাকিস্তানি নাগরিককে বিভিন্ন অভিযোগে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এছাড়া, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে আরও ৩৬৯ জন পাকিস্তানিকে আটক করা হয়েছে।
এ তথ্য জাতীয় সংসদে তুলে ধরেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি। আজ বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে দ্য ডন। পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) সংসদ সদস্য সেহার কামরানের করা এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য দেন।
সরকারি পরিসংখ্যানে বলা হয়েছে, জানুয়ারি ২০২৪ থেকে এ পর্যন্ত সৌদি আরব, ইরাক, মালয়েশিয়া, ওমান, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) থেকে মোট ৫,৪০২ জন পাকিস্তানিকে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০২৪ সালে ফেরত পাঠানো হয় ৪,৮৫০ জনকে এবং চলতি বছরে এখন পর্যন্ত ৫৫২ জনকে।
যদিও পিপিপির সংসদ সদস্য বিগত তিন বছরের পরিসংখ্যান চেয়েছিলেন, মন্ত্রী শুধু ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে তথ্য উপস্থাপন করেছেন।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ফেরত পাঠানোদের মধ্যে সর্বাধিক সংখ্যক ব্যক্তি সিন্ধু প্রদেশের। ভিক্ষাবৃত্তির অভিযোগে ফেরত পাঠানো ২,৭৯৫ জনের নিবাস সিন্ধুতে। পাঞ্জাব থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে ১,৪৩৭ জন, খাইবার পাখতুনখোয়া থেকে ১,০০২ জন, বেলুচিস্তান থেকে ১২৫ জন, আজাদ কাশ্মীর থেকে ৩৩ জন এবং ইসলামাবাদ থেকে ১০ জন।
প্রসঙ্গত, সৌদি আরবের পর সর্বাধিক সংখ্যক ২৪৭ জন পাকিস্তানিকে ফেরত পাঠিয়েছে ইরাক। সংযুক্ত আরব আমিরাত এ ইস্যুতে পাকিস্তান সরকারের সঙ্গে কড়া অবস্থান নিয়েছে এবং পাকিস্তানিদের ভিসায় কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, যার আওতায় ৫৮ জনকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।