জম্মু ও কাশ্মীরের কিশতওয়ার জেলার চাশোটি এলাকায় আজ দুপুরে ভয়াবহ মেঘ বিস্ফোরণে আকস্মিক বন্যা হয়েছে। এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনাস্থলে তৎপরতা চালাচ্ছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ) জানিয়েছে, ইতোমধ্যে দুটি দল ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, চাশোটি হিমালয়ের মাচাইল মাতার পবিত্রধামের পথে শেষ মোটরযান-চলাচলযোগ্য গ্রাম এবং মাচাইল মাতা যাত্রার সূচনাবিন্দু। এ কারণে ঘটনাস্থলে তীর্থযাত্রীদের উপস্থিতি ছিল বেশি। বন্যার কারণে বার্ষিক এই যাত্রা সাময়িকভাবে স্থগিত ঘোষণা করেছে প্রশাসন।
কিশতওয়ারের জেলা প্রশাসক পঙ্কজ শর্মা জানিয়েছেন, চাশোটি এলাকায় আকস্মিক বন্যা হয়েছে। উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও জম্মু-কাশ্মীরের উধমপুরের সাংসদ জিতেন্দ্র সিং জানিয়েছেন, তিনি জেলা প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। সংবাদ সংস্থা এএনআই-কে তিনি জানান, ক্লাউডবার্স্টের মাত্রা অত্যন্ত ভয়াবহ, যা হয়তো উল্লেখযোগ্য প্রাণহানির কারণ হতে পারে। জেলা প্রশাসন দ্রুত ঘটনাস্থলে যাচ্ছে। হেলিকপ্টারের মাধ্যমে আহতদের উদ্ধারের প্রস্তুতিও চলছে।
জম্মু ও কাশ্মীরের উপ-রাজ্যপাল মনোজ সিনহা ঘটনাটিতে শোক প্রকাশ করে উদ্ধার তৎপরতা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন।
এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, চাশোটি, কিশতওয়ারে ক্লাউডবার্স্টে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। সিভিল, পুলিশ, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ ও এসডিআরএফ কর্মকর্তাদের উদ্ধার ও ত্রাণ কার্যক্রম আরও জোরদার করার নির্দেশ দিয়েছি, যাতে ক্ষতিগ্রস্তরা সর্বোচ্চ সহায়তা পান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, তীর্থযাত্রীদের দ্রুত নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব সংস্থা সমন্বিতভাবে কাজ করছে।