শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক ছাত্রীকে অচেতন করে তার দুই সহপাঠীর বিরুদ্ধে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ উঠেছে।
আটকরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাশ পার্থ। দুপুরে ভিকটিম বাদী হয়ে দুই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা করার পর তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
বিকেলে ভুক্তভোগী নারী শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেছেন। এদিকে অভিযুক্ত দুই শিক্ষার্থীর সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করে বিবৃতি দিয়েছে ওই ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সহপাঠী সূত্রে জানা যায়, গত ২ মে সন্ধ্যারাতে অভিযুক্ত দুই সহপাঠীর সঙ্গে শহরের কনসার্টে যাবার পূর্বে ওই ছাত্রীকে সুরমা এলাকায় নিয়ে যায়। এ সময় তারা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে অচেতন করে মেসে নেয়। মেসে অচেতন অবস্থায় আটকে রেখে মেয়েটি ধর্ষণ করে দুই ছাত্র। একইসঙ্গে এই ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। পরে ওইসকল ভিডিও দেখিয়ে দুই ছাত্র ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে নিয়মিত ব্ল্যাকমেইল করছিল এবং ঘটনা জানাজানি করলে ভিডিও অনলাইনে ছেড়ে দেওয়ার হুমকি দেয়।
গতকাল বিকেলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী প্রক্টর বরাবর অভিযোগ করলে প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা হিসেবে পুলিশকে জানান। পুলিশ প্রশাসন পরে দুই ছাত্রকে আটক করে এবং তাদেরকে প্রক্টর অফিসে নিয়ে আসেন। পরে প্রক্টরের সঙ্গে আলোচনা শেষে তাদেরকে থানায় পুলিশ হেফাজতে নেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি মো. জিয়াউর হক এ বিষয়ে বলেন, তাদের একজনকে ক্যাম্পাস থেকে এবং আরেকজনকে সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে আপাতত তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। তবে এখনো মামলা দায়ের হয়নি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেছুর রহমান গণমাধ্যমে বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থী শ্লীলতাহানির বিষয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। বর্তমানে অপরাধীরা পুলিশ হেফাজতে আছে এবং মামলার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম বলেন, প্রশাসনের পক্ষ থেকে যে যে পদক্ষেপ নেওয়া প্রয়োজন তা নেওয়া হচ্ছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ইসমাঈল হোসেন বলেন, ঘটনার বিষয়ে বৃহস্পতিবার আমরা অভিযোগ পাই। অভিযোগ পাওয়ার দুই ঘণ্টার মধ্যেই ডিজিটাল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে অভিযুক্তদের শনাক্ত করে প্রক্টর অফিসে হাজির করা হয়।