স্বাস্থ্যখাতের সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া এবং বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (শেবাচিম) চিকিৎসাসেবা আধুনিকায়নসহ ৩ দফা দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা।
শনিবার (৯ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় বরিশাল নগরীর নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকায় এই অবরোধ শুরু হয়। এর ফলে রাজধানী ঢাকার সঙ্গে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের ৬ জেলার যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
ছাত্র জনতার ব্যানারে আন্দোলনের নেতৃত্ব দিচ্ছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীরা। টানা ১৪ দিন ধরে চলা এই আন্দোলন কর্মসূচির আওতায় আজ তৃতীয় দিনের মতো ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করা হলো। এর আগে শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় সাড়ে ৭ ঘণ্টা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। সড়ক অবরোধ করে বিভিন্ন শ্লোগান দিচ্ছে আন্দোলনকারীরা। ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ রয়েছে।
সড়ক বন্ধ থাকায় অবরোধস্থলের দু’দিকে যাত্রীবাহী বাসসহ শত শত যানবাহন আটকা পড়েছে। দুর্ভোগ পোহাচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। রাজধানী ঢাকার সাথে বরিশালের কিছু অংশসহ পিরোজপুর বরগুনা ভোলা ঝালকাঠি পটুয়াখালী এবং পর্যটনকেন্দ্র কুয়াকাটার সবরকম যানবাহন চলাচল রয়েছে বন্ধ।
বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের জানান, সমস্যা নিরসনে আলোচনা চলছে। আশা করি দ্রুত অবরোধ উঠে যাবে। স্বাস্থ্য উপদেষ্টার প্রতিশ্রুতি ছাড়া আন্দোলন প্রত্যাহার হবে বলে দাবি জানিয়ে আন্দোলনকারীরা।