নেত্রকোনার পূর্বধলায় প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত গৃহবধূ ঝর্ণা আক্তার (৩৭) হত্যা মামলার পলাতক আসামি ফিরোজ খাঁ (৩৫) নামে এক পুলিশের এএসআইকে গ্রেফতার করেছে র্যাব।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে (১ এপ্রিল) শনিবার র্যাব-১৪, ময়মনসিংহের একটি টিম অভিযান চালিয়ে টাঙ্গাইল শহর থেকে তাকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ফিরোজ খাঁ পূর্বধলা উপজেলার ধলামূলগাঁও ইউনিয়নের আগমারকেন্ডা গ্রামের আ. সাত্তার খানের ছেলে। তিনি বাংলাদেশ পুলিশের এন্টি টেরোরিজম ইউনিট ময়মনসিংহে কর্মরত ছিলেন।
ময়মনসিংহ র্যাব সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার) মো. আনোয়ার হোসেন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। অপারেশন ও মিডিয়া অফিসার জানান, ওই গ্রামের খোয়াজ খাঁর সাথে তার চাচাত ভাই আলম খানের নানা বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৬ (মার্চ) সন্ধ্যায় খোয়াজ খাঁ তাদের পারিবারিক বিষয় নিয়ে তার মেয়ে তামান্নাকে (১৭) মারধর করতে থাকলে খোয়াজ খাঁর চাচাত ভাই আলম খানের স্ত্রী ঝর্ণা আক্তার তা ফেরাতে গিয়ে খোয়াজ খাঁ কর্তৃক মারধরের শিকার হন।
পরে ওই বিরোধকে কেন্দ্র করে গত সোমবার (২৭ মার্চ) দিবাগত রাত সাড়ে ১০টার দিকে তাদের নিজ বাড়িতে দু’পক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে প্রতিপক্ষ খোয়াজ খানের লোকজন ধারালো অস্ত্র নিয়ে ঝর্ণা আক্তার, ছেলে তামিম, ভাই পাপন, ভাইয়ের ছেলে মাহাবুব ও সাকিবকে পিটিয়ে এবং কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে নেত্রকোনা হাসপাতালে নেয়ার পথে প্রতিপক্ষের লোকজন রাত ১১টার দিকে ফের আহতদের ওপর হামলা চালিয়ে ঝর্ণাকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে তাকে প্রথমে নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতাল পরে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার বিকেলে ঝর্ণা আক্তার মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ভাই নেত্রকোনা সদর উপজেলার সিংহের বাংলা গ্রামের রুহুল আমিন পূর্বধলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় এএসআই ফিরোজ খাঁকেও আসামি করা হয়।
বাবু/জেএম