রাজধানীর বঙ্গবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের পাশাপাশি পুলিশ ও অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর বিকেল সোয়া তিনটার দিকে সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন।
আইজিপি বলেন, আমরা ভোরে আগুনের খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পৌনে সাতটার মধ্যে সব সিনিয়র অফিসার ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কাজ শুরু করেন। আমরা এসে ভয়াবহ আগুন দেখি। তখন থেকেই ফায়ার সার্ভিস কাজ করছে। আমরা রাজারবাগ থেকে পাঁচটি ওয়াটার ক্যানন এনে ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কাজ শুরু করি। আমাদের ওয়াটার রিজার্ভার থেকে প্রায় দুই লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দিয়েছি। আমাদের পুলিশের প্রায় দুই হাজার ফোর্স এই এলাকায় দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা অত্যন্ত পরিশ্রম করেছেন। র্যাব-বিজিবিসহ তিন বাহিনীর সদস্যরা একযোগে দায়িত্ব পালন করেছেন। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় কিছুক্ষণ আগে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। আমাদের একটি ব্যারাকে আগুন লেগেছে। আমাদের সব সদস্য নিরাপদে বের হতে পেরেছেন। মালামাল বের করতে পারিনি। ডকুমেন্টস ও মালামালের কী ক্ষতি হয়েছে তা পরে জানা যাবে।’
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরে হামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন কী অবস্থা, এখানে হাজার হাজার মানুষ। হামলার খবর পেয়ে আমরা সঙ্গে সঙ্গেই গিয়েছি, এরপর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। পরে জড়িতদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
‘ঘটনাটি যখন ঘটেছে, আগে থেকে প্রস্তুতি ছিল না। আস্তে আস্তে আমরা শক্তি বৃদ্ধি করেছি, পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে নিয়েছি। এখন পরিস্থিতি সম্পূর্ণভাবে আমাদের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। ট্রাফিক ব্যবস্থাপনাও ঠিক রেখেছি, যার কারণে এত বড় ঘটনার পরও ঢাকার ট্রাফিক ব্যবস্থা সচল ছিল।’
আইজিপি বলেন, ‘ইতোমধ্যে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নাশকতার কোনো ঘটনা থাকলে কমিটির তদন্তে বেরিয়ে আসবে। আমরা সেই রিপোর্টের অপেক্ষায় থাকব। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’
বাবু/এ আর