কক্সবাজারের টেকনাফে পাত্রী দেখতে এসে নিখোঁজ তিন বন্ধুর লাশ উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
বুধবার (২৪ মে) দুপুরে তাদের লাশের সন্ধান পেয়ে র্যাব ও পুলিশ সহ যৌথ অভিযান চালিয়ে টেকনাফ দমদমিয়া পাহাড়ি এলাকার গহীন পাহাড়ি এলাকা থেকে লাশগুলো উদ্ধার করা হয়।
মৃত তিন বন্ধু হলেন, কক্সবাজারের ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ সওদাগর পাড়া এলাকার মোহাম্মদ ইউসুফ (৩০), চৌফলদণ্ডী এলাকার রুবেল (২৮) এবং কক্সবাজার শহরের নুনিয়াছড়া এলাকার ইমরান। তারা তিন জনই বন্ধু।
এ বিষয়ে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নেরর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্ণেল সাইফুল ইসলাম সুমন বলেন, 'তিন বন্ধু নিখোঁজ হওয়ার পর থেকে আমরা তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চালাই। এক পর্যায়ে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে এক অপহরণকারীকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির স্বীকারোক্তি মতে বুধবার বিকেলে টেকনাফ দমদমিয়া সংলগ্ন গহীন পাহাড় থেকে ৩ বন্ধুর অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় আমাদের অভিযান চলমান রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানাযায়, অপহৃত তিন বন্ধু গত মাসের ২৮ এপ্রিল বন্ধুর জন্য পাত্রী দেখতে কথা বলে টেকনাফের উদ্দেশ্যে যায়। যাত্রাপথে সড়ক থেকে সিএনজি থামিয়ে একদল স্থানীয় সন্ত্রাসীদের সহযোগিতায় তাদের পাহাড়ের গভীরে নিয়ে যায়। পরে তাদের ছেড়ে দিতে ৩০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী চক্র।
এদিকে নিখোঁজদের সন্ধানে পাহাড়ে অভিযানের খবরে ছুটে আসেন নিখোঁজ এমরানের পিতা মো. ইব্রাহিম। তিনি বলেন, গত ২৫ দিন আগে আমার ছেলেসহ তিন বন্ধু মিলে টেকনাফে বেড়াতে এসে অপহরণের শিকার হন। পরে এক সিএনজি ড্রাইভারের কাছ থেকে শুনি আমার ছেলে অপহরণ হয়েছে। ছেলে অপহরণের ঘটনা শুনে টেকনাফ থানায় অবহিত করি। এরপরও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি।
তিনি আরও বলেন, 'আজকে পাহাড় থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। কিন্তু এখনো ছেলের মুখ দেখিনি।'
টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম জানান, খবর পেয়ে পুলিশ এবং র্যাবের কয়েকটি টিম পাহাড়ে অভিযান শুরু করেছে। লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে মর্গে পাঠানো হচ্ছে।
বাবু/জেএম