কুড়িগ্রামে কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, তিস্তা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদ-নদীর পানি। তবে পানি বৃদ্ধি পেলেও এখন পর্যন্ত সবগুলো পয়েন্টে বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি ঢুকে পড়ছে নদ-নদী অববাহিকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলগুলোতে। তবে এখনও ঘর-বাড়িতে পানি প্রবেশ না করলেও তলিয়ে গেছে এসব এলাকার পটল, ঢেড়সসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় বন্যার আশঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে চরাঞ্চলসহ নিম্নাঞ্চলের মানুষজন। নিম্নাঞ্চলের সবজিসহ বিভিন্ন ফসলের ক্ষেত পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তারা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী ইউনিয়নের শুলকুর বাজার এলাকার কৃষক আহমেদ আলী জানান, কয়েক দিন ধরে বৃষ্টিপাতের ফলে খাল বিল সব ভরে গেছে। এদিকে ধরলার পানিও দ্রুত বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির পাশে অবস্থান করছে। যেকোন সময় পানি বাড়িতে উঠতে পারে। পটল ক্ষেত, ঢেড়স ক্ষেত, পাট ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেত তলিয়ে গেছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের মোল্লারহাট এলাকার মতিয়ার রহমান জানান, ব্রহ্মপুত্রের পানি খুবই দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। নতুন চরগুলোতে পানি প্রবেশ করছে। এভাবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে চরাঞ্চলের ঘর-বাড়ি নিমজ্জিত হয়ে পড়বে। আমরা খুবদুশ্চিন্তায় রয়েছি।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ-আল-মামুন জানান, জেলার উপর দিয়ে প্রবাহিত সবগুলো নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলেও এখনও বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তবে আগামী ২২ ও ২৩ জুন এসব নদ-নদীর পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে বলে আবহাওয়ার পুর্বাভাস অনুযায়ী জানা গেছে। তবে আগামী ১০ দিনের মধ্যে বড় কোন বন্যার সম্ভাবনা না থাকার কথাও জানান তিনি।
বাবু/জেএম