শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫ ২৭ আষাঢ় ১৪৩২
শুক্রবার ১১ জুলাই ২০২৫
পি‌রোজপু‌রে নৌকার হা‌টে নৌকা আছে ক্রেতা নেই
এস এম আকাশ, পি‌রোজপুর
প্রকাশ: সোমবার, ১০ জুলাই, ২০২৩, ৭:৫৩ PM
পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলার বৈঠাকাটা নৌকার হাটে নানা আকারের নৌকা থাকলেও নেই ক্রেতাদের ভিড়। এবার পানি না বাড়ায় নৌকার চাহিদা বাড়েনি বলে জানিয়েছেন নৌকার কারিগররা। 

প্রতি শনিবার ও মঙ্গলবার উপজেলরা বেলুয়া নদীতে ও নদীর তীরে রাস্তার উপরে বসে অর্ধশত বছরের ঐতিহ্যবাহী এই নৌকার হাট। সকাল থেকে শুরু করে নৌকা বেচা-কেনা চলে বেলা ১১টা পর্যন্ত। এছাড়া, সেখানে প্রতিদিনই নৌকা বেচা-কেনা হয়।

নাজিরপুর উপজেলা ছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলা স্বরুপকাঠী, কাউখালী, গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া, বাগেরহাট জেলার চিতলমারীসহ বরিশাল জেলার বিভিন্ন উপজেলার মানুষ নৌকা বেচা-কেনা করতে আসেন এই হাটে।

গত শনিবার সরেজমিনে হাটে গিয়ে দেখা যায়, ক্রেতার চেয়ে বিক্রেতাই বেশি। বেচা-কেনা কম হলেও সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত হাটে ছিল ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপস্থিতি।
নৌকার কারিগর চান্দুমিয়া বলেন, এ হাটে মূলত ডিঙি নৌকা বেচা-কেনা হয়। আকারভেদে পাঁচ হাজার থেকে দশ হাজার টাকা পর্যন্ত একেকটি ডিঙি নৌকা বিক্রি হয়। আমি যে নৌকাটি নিয়ে আসছি সেটা আমার তৈরি করতে ৫-৬ হাজার টাকা খরচ হয়েছে, দশ হাজার টাকায় বিক্রি করবো। সাধারণত মেহগনি, কড়ই, আম, চাম্বল, রেন্ট্রি কড়ই গাছের কাঠ দিয়ে নৌকা তৈরি করা হয়। এখানে বিলাঞ্চল হওয়ায় নৌকা বিক্রি সারাবছর চলে।

একই এলাকার পাইকারি ক্রেতা আইয়ুব আলী বলেন, আমি এই হাটে আসা কারগিরদের কাছ থেকে পাইকারি নৌকা কিনে একই হাটে খুচরা বিক্রি করি। যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো না থাকায় আর ভাসমান সবজি চাষে নৌকার ব্যবহার বেশি। তাই সারাবছর কম বেশি নৌকা বিক্রি হয়। তবে আজ এখনো কোনো কোনো নৌকা বিক্রি করতে পারি না।

হাটের আরেক কারিগর অমল ব্যাপারী জানান, কোনো কোনো হাটে নৌকা বিক্রি না করে বাড়ি যেতে হচ্ছে।  এমনিতেই কাঠ থেকে শুরু করে নৌকা তৈরিতে  যা যা দরকার সব কিছুর দাম বেড়ে গেছে, তার ওপরে নৌকার দাম কম। আমরা খুব কষ্টে আছি।’

নৌকা কিনতে আসা ছলেমান শেখ বলেন,  তুলনামূলকভাবে নৌকার দাম কম।  চার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় অনেক ভালো নৌকা পাওয়া যায়। একটু কম দামেই কিনলাম।

বৈঠাকাটা ভাসমান বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রানা জানান, ভাসমান এ বাজারে পঞ্চাশ বছর আগে থেকে নৌকা বিক্রি করা হয়। তবে বাজারটি ভাসমান সবজি বাজার হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছে। বাজারে খাজনার পরিমাণ কম তাই ক্রেতা-বিক্রেতা বেচাকেনা করে সন্তুষ্ট। নাজিরপুর টু বৈটাকাঠা বাজার পর্যন্ত রাস্তা সংস্কর করা হলে ক্রেতা বাড়বে । ইতোমধ্যে অনেকটি ব্রিজের কাজ চলতেছে।

বাবু/জেএম
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত