গাজীপুরের শ্রীপুরে ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ-আল মামুনকে (২৩) মহাসড়কে গাড়ী পোড়ানো মামলায় আসামী করা হয়েছে। সোমবার (০৬ নভেম্বর) তাকওয়া পরিবহনের মালিক স্বপন আহমদ বাদী হয়ে শ্রীপুর থানায় বিস্ফোরক আইনে ওই মামলা দায়ের করেছেন। মামলার মোট ২৭ জন আসামির মধ্যে মামুনকে ১৩ নম্বর আসামি করা হয়েছে।
আব্দুল্লাহ-আল মামুন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বরমী গ্রামের মোহাম্মদ মোস্তফা কামালের ছেলে। সে বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী বলে নিশ্চিত করেছেন বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুরাদ হোসেন।
ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, রবিবার (০৫ নভেম্বর) সকালে কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি এমপির (সংরক্ষিত নারী আসন-১১৪) সমর্থনে যুবলীগ নেতা শরিফ হায়দার নেতৃত্বে শান্তি মিছিলে অংশ নেই এবং ওই দিন মধ্য রাত পর্যন্ত যুবলীগ নেতা শরিফ হায়দার মৃধার সঙ্গেই ছিলাম। শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা এলাকায় তাকওয়া পরিবহনের একটি বাস ভাংচুরের মামলার আমাকে আসামি ১৩ নম্বর আসামী করা হয়েছে।
বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতিসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা জানান, মামুন তাদের একজন সক্রিয় দলীয় কর্মী। মামলায় দায়েরের দিন সোমবার (০৬ নভেম্বর) মামুন আওয়ামীলীগের নির্ধারীত শান্তি মিছিল ও সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন।
বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মুরাদ হোসেন বলেন, আমি দীর্ঘ সাত বছর বরমী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছি। আব্দুল্লাহ-আল মামুন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। দলীয় বিভিন্ন কর্মসূচীতে তার সক্রিয় অংশগ্রহণ রয়েছে। চক্রান্ত করে কোনো এক স্বার্থান্বেষী মহল তাকে গাড়ী পোড়ানো মামলায় আসামী করেছে।
বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরিফ হায়দার মৃধা বলেন, ছাত্রলীগ কর্মী আব্দুল্লাহ-আল মামুন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। মামলার এজাহারে গাড়ি ভাংচুরের যে সময় দেখানো হয়েছে ওই সময় সে আমার বাসায় ছিলো। আমরা শান্তি সমাবেশে যোগদেওয়ার জন্য প্রস্ততি নিচ্ছিলাম। সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি অধ্যাপিকা রুমানা আলী টুসি আপার সমর্থনে সে আমার সঙ্গে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে চারটি কর্মসুচিতে অংশ নেয়।
বরমী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আলী আমজাদ পন্ডিত ও সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ খন্দকার জানান, আব্দুল্লাহ-আল মামুনের পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও সরাসরি আওয়ামী রাজনীতির সাথে জড়িত।
মামলার বাদী তাকওয়া পরিবহনের মালিক স্বপন আহমেদের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলে তিনি রসিভ না করায় এ বিষয়ে তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল ফজল মো: নাসিম বলেন, বাদীর লিখিত এজাহারের ভিত্তিতে মামলাটি রুজু করা হয়েছে। তিনি এজাহারে যাদের নাম উল্লেখ করেছেন তাদেরকে আসামীকরেই মামলা হয়েছে। তদন্তের পর জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়া না গেলে মামলা থেকে তাকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য আদালতে আবেদন করা হবে।