ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’ এর প্রভাবে পিরোজপুর জেলায় কৃষকের চাষ কৃত আমন ধানের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে। মিধিলির প্রভাবে ঝোড়ো শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টিসহ ঝড়ো হাওয়া শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৈরী আবহাওয়া থাকলেও সন্ধ্যার পরপরই বেড়েছে বৃষ্টির তীব্রতা। জেলার কঁচা, বলেশ্বের, কালিগঙ্গাসহ নদ-নদী গুলোতে জোয়ারের পানি স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, বেড়েছে স্রোতের তীব্রতা। ঝুঁকিতে রয়েছে নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার মানুষ।
শুক্রবার সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাসের কারণে মানুষজনকে রাস্তায় দেখা যায়নি। খেটে খাওয়া নিম্ন আয়ের মানুষগুলো গৃহবন্ধি হয়ে পড়েছে। অতি বৃষ্টি ও বাতাসের কারণে হাট-বাজারে দোকান পাট অধিকাংশই বন্ধ রয়েছে। প্রবল ঝড়ো বাতাসে ধানসহ এবং সদ্য ধানের শিষ বের হওয়া আমন ধানের গাছ পানিতে নুয়ে পড়েছে। এতে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন চাষি ও কৃষকরা। এ ছাড়াও রবি শষ্যের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা কৃষকের। এভাবে অবিরাম বৃষ্টি ও বাতাস হলে গাছের গোড়ায় পানি জমে শাক-সবজিতে পচন ধরার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মিধিলি মোকাবেলায় জেলার সাতটি উপজেলায় ৫৬১ আশ্রয়কেন্দ্র, সাতটি উপজেলায় আটটি কন্ট্রোল রুম, দুর্গতদের সেবার জন্য ৬৩টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
এছাড়া, দুর্যোগপূর্ব ও পরবর্তী মানুষের সেবা দিতে ১৭০০ সিপিপি সদস্য ও ৩৫০ জন স্কাউট সদস্য কাজ করবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান।
তিনি আরও জানান, দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের কাছে ৪ লাখ ১০ হাজার টাকা, ৪৬ বান্ডিল টিন, ৪১২ মেট্রিক টন চাল এবং ৫ হাজার ৬০০ কম্বল রয়েছে। জেলার সব চেয়ে দুর্যোগ প্রবণ এলাকা মঠবাড়িয়ার মাঝেরচর ও খেতাছিড়া এলাকার মানুষের নিরাপত্তায় বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।