নোয়াখালীর ছয়টি আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে মনোনয়ন যাচাই-বাছাইয়ে ১৮ জন প্রার্থী বাদ পড়েছেন। রোববার (৩ ডিসেম্বর) নোয়াখালী জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান তাদের মনোনয়ন বাতিল করেন।
জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, নোয়াখালী-১ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে ৯ জনের মনোনয়ন বৈধ এবং দুজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-২ আসনে ১৩ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে আটজনের মনোনয়ন বৈধ এবং পাঁচজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
নোয়াখালী-৩ আসনে ১১ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে সাতজনের মনোনয়ন বৈধ এবং চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়। নোয়াখালী-৪ আসনে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে পাঁচজনের মনোনয়ন বৈধ এবং চারজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
নোয়াখালী-৫ আসনে পাঁচজন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে পাঁচজনেরই মনোনয়ন বৈধ হয়। নোয়াখালী-৬ আসনে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। তার মধ্যে তিনজনের মনোনয়ন বৈধ এবং তিনজনের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়।
রোববার (৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, নোয়াখালী-৩ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মামুনুর রশীদ কিরন ঋণ খেলাপি হওয়ায় মনোনয়ন বাতিল হয়। এছাড়াও নোয়াখালীর-৬ আসনে ৫৫ জন প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জনের মনোনয়ন বাতিল হয় এবং ৩৭ জনের মনোনয়ন বৈধ হয়। যাদের মনোনয়ন বাতিল করা হয়েছে সেগুলো যৌক্তিক কারণেই বাতিল করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী মনোনয়ন ফরম যাচাই-বাছাই ১ থেকে ৪ ডিসেম্বর। মনোনয়ন আপিল ও নিষ্পত্তি ৬ থেকে ১৫ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ তারিখ ১৭ ডিসেম্বর। প্রতীক বরাদ্দ হবে ১৮ ডিসেম্বর এবং নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল আটটা পর্যন্ত চলবে। ভোটগ্রহণ আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি (রোববার) অনুষ্ঠিত হবে। ইতোমধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ৬৬ জন রিটার্নিং কর্মকর্তা এবং ৫৯২ জন সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ চূড়ান্ত করা হয়েছে।