টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে নির্বাচনী অফিস ভাংচুর ও কয়েক সমর্থককে পিটিয়ে আহতর প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ও সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা। এতে তিনি আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী ডাঃ কামরুল হাসান খানের সমর্থকদের দায়ী করেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ঘাটাইল প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি মিলনায়তনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন এমপি প্রার্থী আমানুর রহমান খান রানা।
লিখিত বক্তব্যে আমানুর রহমানের অভিযোগ, গত ১৮ ডিসেম্বর রাতে উপজেলার সংগ্রামপুর ইউনিয়নে দেওজানা ও ফকিরচালা বাজারে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ডা: কামরুল হাসান খানের সন্ত্রাসী বাহিনী স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খানের নির্বাচনী প্রচারণা অফিসে ভাংচুর চালায় এবং কয়েক সমর্থককে পিটিয়ে আহত করে। এই ঘটনায় তিনি ঘাটাইল থানা, জেলা ও উপজেলা রিটার্নিং অফিসার এবং জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘন, এবং জনমনে আতংক সৃষ্টির মাধ্যমে জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি উৎসবমুখর নির্বাচনে বিঘ্ন সৃষ্টিকারী এহেন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের তীব্রনিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সন্ত্রাসীদেরকে অনতিবিলম্বে আইনের আওতায় আনার জন্য নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে সে সময় প্রশাসনের নিকট আহবান জানান এমপি প্রার্থী আমানুর রহমান খান।
আমানুর রহমান খান আরও বলেন, অধ্যাপক ডা: কামরুল হাসান খান সাহেব জনগণের কাছে গিয়ে তাদের মন জয় করবেন, ভোট প্রার্থনা করবেন এমনটাই প্রত্যাশা। কিন্তু আমাদের প্রত্যাশাগুলো সহসাই মুখ থুবড়ে পড়েছে। তিনি এসেই তার বিভিন্ন বক্তব্যে আমাকে সন্ত্রাসী বলে আখ্যায়িত করলেন, অথচ সন্ত্রাসী কর্মকান্ড উনারাই চালাচ্ছেন। আমাকে হুমকিবাজ বলা হয়, অথচ উনারাই নানাভাবে মানুষকে হুমকি দিচ্ছেন। আমার নির্বাচনী প্রচারনা অফিস ভাংচুর করতেছেন, উনার নির্বাচন না করলে বিভিন্ন জনের হাত-পা ভেঙ্গে ফেলবেন, চাকরি খাবেন কিংবা বান্দরবন পাঠাবেন প্রভৃতি রকমের ভয়ভীতি কি হুমকিবাজি কিংবা সন্ত্রাসবাজি নয়? আমাদের সাথে হুমকিবাজি কিংবা সন্ত্রাসবাজি করতে আসবেন না। আপনাদের চেয়ে অনেক বড় বড় খেলোয়াড়দের সাথে জনগণকে সাথে নিয়ে আমরা লড়াই সংগ্রাম করে এসেছি।
সংবাদ সম্মেলনে আনেহলা ইউপি চেয়ারম্যান তালুকদার শাজাহান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক সাইফুর রহমান মিঞ্জু, মোতালেব হোসেন, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক খলিলুর রহমান তালুকদার, পৌর কাউন্সিলর শেখ মোঃ কবির আহমেদ, জেলা পরিষদের সদস্য রোকনুজ্জামান ঠান্ডুসহ ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
টাঙ্গাইল-৩ (ঘাটাইল) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ডা. কামরুল হাসান খান। এই আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত বর্তমান সংসদ সদস্য আতাউর রহমান খানের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য আমানুর রহমান খান রানা (ঈগল প্রতীক)।
আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডাঃ কামরুল হাসান খানের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সমন্বয়কারী জামুরিয়া ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হেস্টিংস স্বতন্ত্র প্রার্থী আমানুর রহমান খানের সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি অবগত হয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ডাঃ কামরুল হাসান একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক, পেশাজীবী সমন্বয় পরিষদের সভাপতি। তিনি কোন সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে মদদ দিবেন এটি অবিশ্বাস্য। ডাঃ কামরুল হাসান খানকে জড়িয়ে এমন মিথ্যা, ষড়যন্ত্রমূলক তথ্য সমৃদ্ধ সংবাদ সম্মেলনের তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে পরাজিত হবেন বলে প্রতিপক্ষ এমন ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত আছেন।