তাওহীদ হৃদয়-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের ৪৪ রানের দুর্দান্ত জুটিতে প্রথমবারের মতো দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে জয়ও প্রায় ধরা দিচ্ছিল। কিন্তু না, একেবারে তীরে এসে তরী ডোবাল বাংলাদেশ। মাত্র ৪ রানে হেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে।
১১৩ রান ছোট পুঁজি হলেও, নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে রানতাড়া করা কতটা কঠিন হতে পারে সেটি আগেই আন্দাজ করা গিয়েছিল। কিন্তু টাইগারদের আক্ষেপ ঝরবে হয়তো হৃদয়ের আউটে, কাগিসো রাবাদা জোরালো আবেদন না করলেও আম্পায়ার আউট দিয়েছেন অনায়াসে।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায় একেবারে লেগ-স্টাম্পের বেল বরাবর আঘাত করতো সেটি। আম্পায়ার্স কলের আক্ষেপে পুড়লেন হৃদয়, সেখানেই হয়তো শেষ হয়ে যায় টাইগারদের জয়ের স্বপ্ন!
বাংলাদেশের ভাগ্যটা অবশ্য নির্ধারণ হয়ে যায় ১৮তম ওভারে, রাবাদার করা ওভারটিতে মাত্র ২ রান আসে। প্রথম বলে উইকেটের পর তিনি টানা তিনটি ডট দেন। নতুন ব্যাটসম্যান জাকের আলি কেবল পঞ্চম বলে কেবল একটি সিঙ্গেল রান নিতে পারেন, ফলে শেষ দুই ওভারে সমীকরণ দাঁড়ায় ১৮ রানের।
ওটনিয়েল বার্টমেনের পর মহারাজ দারুণ বোলিংয়ে ছিনিয়ে নিলেন টাইগারদের জয়। যা টি-টোয়েন্টিতে সর্বনিম্ন রানতাড়ায় ব্যর্থ ইনিংসের মধ্যে যৌথভাবে তৃতীয়। ২০১১ সালে ইংল্যান্ড সমান ১১৪ রানতাড়া করতে নেমে ব্যর্থ হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পূর্ণাঙ্গ ম্যাচে এর চেয়ে কম রান করে জেতার নজির নেই আর কারও। এর আগে ২০১৪ সালের বিশ্বকাপে ১১৯ রান করে নিউজিল্যান্ডকে শ্রীলঙ্কা ও চলতি আসরেই ১১৯ রান করে পাকিস্তানকে হারায় ভারত।
আজ টস জিতে সবাইকে চমকে দিয়ে আগে ব্যাটিং নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। তার সেই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে একের পর উইকেট নিয়ে নাস্তানাবুদ করেছেন তানজিম সাকিব ও তাসকিনরা।
প্রথম ওভারের শেষ বলে দারুণ এক ডেলিভারিতে প্রোটিয়া ওপেনার রেজা হেনড্রিকসকে (০) এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন তানজিম সাকিব। তরুণ এই পেসার শুরুতেই দলকে ব্রেকথ্রু এনে দেন।
নিজের কোটার দ্বিতীয় তথা ইনিংসের তৃতীয় ওভারে আক্রমণে এসে আবারও সাফল্য পান তানজিম। সরাসরি স্টাম্প ভাঙলেন পুল শট খেলতে যাওয়া কুইন্টন ডি ককের (১৮)। টাইগার পেসারের জোড়া আঘাতে শুরুতেই বিপাকে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর তানজিমের দলে যোগ দেন তাসকিনও।
বাংলাদেশের হয়ে আজ সর্বোচ্চ ৩৭ রান (৩৪ বল) করেছেন হৃদয়। এ ছাড়া মাহমুদউল্লাহ ২০ এবং অধিনায়ক শান্ত ১৪ রান করেন।