<
সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১ আশ্বিন ১৪৩১
সোমবার ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪
বড় হারে ফাইনালের স্বপ্নভঙ্গ বাংলার মেয়েদের
ক্রীড়া ডেস্ক
প্রকাশ: শুক্রবার, ২৬ জুলাই, ২০২৪, ৫:০৯ PM আপডেট: ২৬.০৭.২০২৪ ৫:১৯ PM
হতশ্রী ব্যাটিংয়ের পর বোলিং এবং ফিল্ডিংয়েও চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ নারী দল। শক্তিশালী ভারতকে মাত্র ৮১ রানের লক্ষ্য দেয়ার পর একের পর এক সুযোগ হাতছাড়া করেছে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। অনেকটা হতাশা নিয়ে টুর্নামেন্ট শেষ করল টাইগ্রেসরা। হারের ব্যবধান ১০ উইকেটে। 

গ্রুপ পর্বে তিনটি ম্যাচের সবকটিতে জিতে ‘এ’ গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সেমিতে পা রাখে ভারত। অন্যদিকে ‘বি’ গ্রুপের রানার্স আপ হিসেবে সেমির টিকিট পেয়েছে বাংলাদেশ। পূর্ব নির্ধারিত নিয়ম অনুযায়ী এক গ্রুপের চ্যাম্পিয়ন দল খেলবে অপর গ্রুপের রানারআপের বিপক্ষে। তাই প্রতিপক্ষ হিসেবে ভারতকেই পেয়েছে বাংলাদেশ।

টসভাগ্য পাশে পেয়েছিলেন বাংলাদেশের অধিনায়ক জ্যোতি। পিচ খুব একটা মন্দ নয়। ব্যাট করার সুযোগটা হাতছাড়া করতে চায়নি বাংলাদেশ। শুরুতেই দিলারার ছক্কা আশার পালে দিয়েছিল হাওয়া। কিন্তু ছক্কা হজমের পরেই ফিল্ডিং পরিবর্তন করেন ভারতীয় অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌর। দিলারা পরের বলেও খেলতে চাইলেন একইভাবে। তবে এবার রেনুকা সিং হাসলেন শেষ হাসি। উমার হাতে জমা পড়ল ক্যাচ। 

বাংলাদেশের ধ্বংসযজ্ঞের সূচনা সেখান থেকেই। আর তাতে বড় ভূমিকা রেনুকার। ১০ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। আগের ম্যাচে দুর্দান্ত ফিফটি পাওয়া মুর্শিদাকে বাধ্য করেছেন শেফালি ভার্মার হাতে ক্যাচ দিতে। মাঝে ইশমা তানজিম আউট হয়েছেন শর্ট থার্ডম্যানে সহজ ক্যাচ দিয়ে। রেনুকা ১০ রানে পেলেন ৩ উইকেট। বাংলাদেশ ২১ রানে হারায় টপঅর্ডারের সবাইকে। 

বাংলাদেশ অধিনায়ক জ্যোতির ধীরগতির সংগ্রামী ইনিংসটাই পুরো ইনিংসের প্রতিচ্ছবি। রুমানা ১১ বলে করেছেন ১ রান। রাধা ইয়াদাভের বলে বোল্ড তিনি। পরের ওভারেই নেই রাবেয়া। ৭ বলে ১ রান করে পুজা বস্ত্রকরের বলে শেফালির দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ৩৩ রানেই বাংলাদেশের ৫ম উইকেটের পতন। 

রিতু মনির ব্যাট থেকে এলো ৫ রান। উইকেটের পেছনে রিচা ঘোষের দ্রুতগতির স্ট্যাম্পিং তাকে ফেরায় সাজঘরে। ৮ নাম্বারে নামা স্বর্ণাই এরপর বাংলাদেশের ইনিংসে কিছুটা গতি এনেছেন। রাধা আজ পেয়েছেন ৩ উইকেট। তাকেই পরপর দুই বলে চার হাঁকিয়েছিলেন। পুজা বস্ত্রকরের ওভারেও এক চার ছিল তার। 

কিন্তু টুকরো টুকরো এসব মুহূর্ত বাংলাদেশকে বড় কোন সংগ্রহ এনে দিতে পারেনি। রেনুকার পর রাধা পেয়েছিলেন ৩ উইকেট। তাতেই টাইগ্রেসদের সংগ্রহ যায় ৮০ রান পর্যন্ত। শেষ ওভারেই রাধা পেয়েছিলেন দুই উইকেট। সঙ্গে ছিল মেইডেন ওভার।

শেফালি ভার্মা আর স্মৃতি মান্ধানা ভারতকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়েছেন বহুবার। এশিয়া কাপের সেমিফাইনালেও বজায় থাকল সেই ধারা। জ্যোতি বোলিংয়ে এনেছিলেন চার বোলারকে। কেউই এনে দিতে পারেননি ব্রেকথ্রু। দুই ওপেনার সুযোগই দিলেন না টাইগ্রেস বোলারদের। 

৬৫ রানে অবশ্য শেফালি ভার্মা বাউন্ডারি লাইনে ক্যাচ দিয়েছিলেন। তবে মুঠোয় থাকা ক্যাচ ফেলে দেন নাহিদা আক্তার। ম্যাচ বেরিয়ে গিয়েছিল অনেক আগেই। ব্যবধান কমানোর সুযোগটাও তখন হাতছাড়া করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত ১১ ওভারেই ১০ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ শেষ করে ভারত।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







সোস্যাল নেটওয়ার্ক

  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক আউয়াল সেন্টার (লেভেল ১২), ৩৪ কামাল আতাতুর্ক এভিনিউ, বনানী, ঢাকা-১২১৩।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত