বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ২০২৫ ১৯ আষাঢ় ১৪৩২
বৃহস্পতিবার ৩ জুলাই ২০২৫
পূর্ব শত্রুতার জেরে মিথ্যা ধর্ষণ মামলায় হয়রানির অভিযোগ
উখিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
প্রকাশ: বুধবার, ৮ মে, ২০২৪, ৮:৪৯ PM
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের তিন নাম্বার ওয়ার্ডের তুমব্রু উলুবনিয়া এলাকার বাসিন্দা গ্রামপুলিশ আবদুল জব্বারের ছেলে মোঃ নুরুল আবছার মানিক ও একই এলাকার বাসিন্দা শাহ আলম এর ছেলে দিদারুল আলম কে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ উঠেছে। 
 
বুধবার (৮ মে) বিকেলে এক অনুসন্ধানে ফুটে উঠেছে কিছু অজানা রহস্য। মামলাটির বাদী সিএমপি চট্টগ্রামের, ডবলমুরিং থানার হামিদ আলী মিস্ত্রীর বাড়ী এলাকার বাসিন্দা সিরাজ বক্স এর মেয়ে শাবনাজ সিরাজ সুর্বণা ও তার বান্ধবী শিখা সহ মাদকের জন্য ঢাকা থেকে উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্পে এসেছে।

পরে অভিযোগের বিষয়ে মুঠোফোনে সিরাজ বক্স মেয়ে শাবনাজ সিরাজ সুর্বণার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, মঙ্গলবার (১৬ এপ্রিল) যেই ঘটনা ঘটেছে তা মিথ্যা। আমাকে জোরপূর্বক মামলা করতে বাধ্য করেছে ঐ এলাকার কয়েকজন  লোক। আমি তখন মাদকাসক্ত ছিলাম। আমি দীর্ঘদিন দরে পরিবার থেকে বিতাড়িত হয়ে প্রায় ২-৩ বছর যাবৎ ভ্রমণ পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসা করে কোন রকম জীবন নির্বাহ করি তবে আমি যখন ক্যাম্পে আসি (১৫ এপ্রিল) রাত আনুমানিক  ১১ টা ৩০ মিনিটের সময় এক অচেনা ব্যক্তি ৬ হাজার টাকার বিনিময়ে একরাত যাপনের উদ্দেশ্য বাগান বাড়িতে নিয়ে যায়।

সেখানে আমরা দুইজন স্বেচ্ছায় মাদকসেবন করি, ও শারীরিক সম্পর্কে লিপ্ত হয়। তবে হঠাৎ কিছু লোক এসে আমাদেরকে ধরে ফেলে। পুরুষ লোকটাকে ঘটনাস্থল থেকে তাড়িয়ে দেন পরে লোকজন আমাকে বিভিন্নভাবে ভয় দেখায় একপর্যায় তারা আমার কাছ থেকে বিশ হাজার টাকা চাইল তখন আমার কাছে কোনো অর্থ ছিল না। তবে তারা বলেছেন ওরা আমাকে যা বলবে তা যদি আমি ভিডিও সামনে বলি আমাকে কিছু অর্থ দিবে যার কারণে আমি বাসায় চলে যেতে পারবো তবে তখন আমি আসক্ত ছিলাম আমি রাজি হয়ে পরে তারা যা শিখিয়ে দিছে তা বলছি ভিডিও করেছে পরে হঠাৎ দেখি পুলিশ এসে আমাকে থানায় নিয়ে যান একটি শর্তে তারা যা বলে আমি তা ওসি স্যারের সামনে বলতে হবে। তাইলে আমাকে ছেড়ে  দেবে না হয় জেলে পাঠাবে।

আমি যা বলে অভিযোগ করেছি তা সম্পন্ন মিথ্যা তাদের খেয়াল খুশিমতো তারা লিখছে , মানিক ঘটনাস্থলে ছিল না আমাকে জোরপূর্বক একাধিক ধর্ষণও করে নাই এবং তাকে আমি চিনিও না। আমি মাদকাসক্ত অবস্থা ভয়ে তারা যা বলছে আমি তা বলছি  ওসির সামনে, আসল কথা হচ্ছে ঐ এলাকা লোকগুলো কেন এত টাকা ভেঙ্গে মামলা করাল? এখন আমি যদি সত্য কথা বলি তাহলে নাকি কোর্ট আমাকে আটকাবে,আমি এখন আদালতে সত্য কথা বলতে কেন আমাকে মিথ্যা মামলায় বাদী বানাল? যারা মামলা করতে বাধ্য করছে তাদের বিচার চাই। 

এ বিষয়ে অভিযুক্ত মানিক জানান আমার বসতঘর থেকে ঘঠনাস্থল প্রায় ৪-৫ কি.মি দুরে। আমার পরিবারের সাথে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন দরে মামলা মোকাদ্দামা চলমান রয়েছে।  মামলাগুলো বিজ্ঞ আদালতে বিচারেধীন আছেন । কিছু লোক সম্পত্তি ও টাকার লোভে পরিকল্পিত ভাবে মিথ্যা মামলায় আসামি করছে আমার বিরুদ্ধে যে মামলা করছে যা মিথ্যা ও বানোয়াট। ঘটনার দিন আমি এলাকায় ছিলাম না। আমাকে পূর্ব শত্রুতার জেরে আসামি করা হয়েছে। আমি এই মিথ্যা কারণে সমাজিক ও পরিবারিকভাবে মানসম্মান হারিয়েছি। অর্থনৈতিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছি। এই মিথ্যা মামলা থেকে অব্যাহতি চাই।

ঘটনাস্থালে থাকা শাহ জাহান জানান মানিক ও দিদার কে ঘটনাস্থলে দেখিনি, দেখছি একজন মহিলা ৩-৪ জন পুরুষ। প্রত্যক্ষদর্শী ইব্রাহিম বলেন মেয়েটা ভিডিও যা বলছে তা সব শিখিয়ে দেওয়া কথা,তখন সেই মাদকাসক্ত ছিল ও আসল ঘঠনা হচ্ছে নাটক আর টাকার জোর।

এ বিষয়ে দিদার জেল হাজতে থাকায় তার কোন বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে তার পরিবার জানান আমার ছেলের নামে মিথ্যা মামলা করেছেন। এই বিষয়ে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে নাইক্ষ্যংছড়ি থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল মান্নান জানান মামলাটি এন্টি হয়েছে আপনি এই বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করুন। এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়ার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত