মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
সিঙ্গাইরে ভেকু বসিয়ে নদী সিকস্তি জমি কেটে মাটি বিক্রি
সিংগাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ১২:২৬ PM
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার বায়রা ইউনিয়নের ঘোরামরা এলাকায় নদী সিকস্তি জমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কেটে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে একটি প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। এতে হুমকির মুখে পড়েছে আশপাশের আবাদি জমি। মাটিবাহী ড্রাম ট্রাকে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে রাস্তা-ঘাট।

এলাকাবাসীর দাবি, স্থানীয় প্রভাবশালী একটি মহল দীর্ঘ দিন ধরে প্রশাসনকে ফাঁকি দিয়েই এ কাজ করে আসছে। চক্রটির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেও কোনো সুফল পান না ভুক্তভোগীরা।

সম্প্রতি উপজেলার নয়াবাড়ি এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।

স্থানীয়রা জানান, অবৈধ মাটি ব্যবসায়ী চক্রের মনির হোসেন, বাবুল, লিটন মোল্লাসহ স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালীর নেতৃত্বে নদী সিকস্তি খাসজমিতে ভেকু বসিয়ে রাতের আঁধারে চলছে এমন ধ্বংসাত্মক কর্মযজ্ঞ। 

এদিকে ড্রাম ট্রাক চলাচলে রাস্তাগুলোর হয়েছে বেহাল দশা। মোটরসাইকেল কিংবা অন্য কোনো যানবাহন চলাচলের উপায় নেই। দ্রুত মাটি কাটা বন্ধসহ রাস্তা সংস্কারের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

মাটিকাটা বন্ধে ও চলাচলের রাস্তা নষ্ট না করতে স্থানীয়রা প্রতিবাদ করায় স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ অনেকের নামে দেন থানায় ব্যাটারি চুরির অভিযোগ।

স্থানীয়রা বলেন, রাতের আঁধারে নদী সিকস্তির মাটি কেটে অবৈধ ১০ চাকার ডাম্প ট্রাক দিয়ে নিয়ে যায়। এতে কাঁচা রাস্তা নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। গাড়ির শব্দে রাতে ঘুমাতে অসুবিধা হয়। বৃষ্টি হলে রাস্তা দিয়ে চলাফেরা করা যায় না। তারা আরো বলেন, রাস্তা দিয়ে মাটি নিতে বাধা দিলে মামলা দেয়, হুমকি দেয়। তাই ভয়ে কেউ কথা বলতে চায় না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. সাদেক হোসেন বলেন, আমি মাটি কাটার বিষয়ে জানিনা। কিন্তু তারা আমাকেও ব্যাটারি চুরির মামলা দিয়েছে। থানা থেকে তদন্তে আসার পর আমি জানতে পেরেছি।

মাটি ব্যবসায়ী মনির হোসেন মাটি কাটার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি নদীর মাটি কাটি না। নদী খনন প্রকল্পের বালু বিক্রি করি।

নদী সিকস্তি জমির মাটি কাটা বিষয়ে বায়রা ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী (নায়েব) মো. ঝিলন খান বলেন, মাটি কাটার বিরুদ্ধে অনেকবার অভিযান চালানো হয়েছে। রাতের আঁধারে চুরি করে মাটি কাটে তারা।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পলাশ কুমার বসু বলেন, মাটি বাণিজ্যের কোনো সুযোগ নেই।  ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালানো হয়।  এরইমধ্যে কয়েকটি এলাকায় জেল জরিমানা করা হয়েছে। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবং এদের বিরুদ্ধে  অভিযান অব্যাহত থাকবে।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত