মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫ ৩ আষাঢ় ১৪৩২
মঙ্গলবার ১৭ জুন ২০২৫
কোরবানির জন্য কেন্দুয়ায় ১২ হাজারের অধিক গবাদিপশু প্রস্তুত
কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
প্রকাশ: মঙ্গলবার, ১১ জুন, ২০২৪, ২:৩২ PM
মুসলমানদের প্রধান ধর্মীয় উৎসবের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে পবিত্র ঈদুল আজহা। এবছর পবিত্র ঈদুল আজহা অনুষ্ঠিত হতে পারে আগামী ১৭ জুন। সেই হিসাবে এখনও ঈদের বাকি ৪ দিন ।

সরেজমিনে মঙ্গলবার (১২জুন) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেন্দুয়া উপজেলার বিভিন্ন খামারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কোরবানির জন্য প্রস্তুত পর্যাপ্ত গরু-ছাগল। ইতিমধ্যেই খামারে গিয়ে পশু পছন্দ করে অগ্রিম বুকিং দিয়ে রাখছেন অনেক ক্রেতারা।

খামারীরা আরো জানান, প্রতি বছর কোরবানির ঈদ সামনে রেখে পশু বিক্রির জন্য কেন্দুয়ার বিভিন্ন জায়গায় হাট বসে। তবে, অনেক ক্রেতা খামার থেকেই কোরবানিযোগ্য পশু কিনতে পছন্দ করেন। আগেভাগে খামারে গিয়ে কোরবানির পশু পছন্দ করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করে বুকিং দিয়ে রাখেন তারা। তাই কোরবানির ঈদকে ঘিরে কয়েক মাস আগে থেকেই প্রস্তুতি নেই আমরা। 

নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় প্রতিবছরের মত এবারো কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে ১২ হাজারের অধিক গরু, ছাগল, ভেড়া প্রস্তুত করা হয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বিক্রির জন্য বিভিন্ন হাঁটে নেওয়া হবে।

আবার অনেক খামারী তারা খামারে রেখেই গবাদিপশু বিক্রি করার জন্য সোশাল মিডিয়া এবং প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের অনলাইন হাঁটে বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন। তার মধ্যে অনলাইন কোরবানির পশুর হাট,কেন্দুয়া নেত্রকোনা এবং কোরবানি হাট, নেত্রকোনা উল্লেখযোগ্য।

স্থানীয় প্রবাস ফেরত শামীম বেগ নামে একজন খামারীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, প্রতিবছরের মত এইবার ঈদেও আমার খামারে ৩০টি গবাদিপশু ঈদে বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছি । তবে গোখাদ্য দাম বেড়ে যাওয়ায় অন্য যেকোন বছরের তুলনায় লাভের পরিমান কম হবে।

এছাড়াও তালুকদার ফ্যাটেনিং ফার্মে ৪০ গরু এবং জাহানারা এগ্রোতে প্রায় ৫০টি গরু লালন পালন করা হয়েছে।

খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে নিজ বাড়িতে অনেকে একটি দুটি করে গবাদিপশু পালন করে থাকে তাদের পশুগুলো নিজেদের কোরবানি চাহিদা মিটিয়ে বাজারে বিক্রি করে থাকেন, এমনি একজন জহিরুল ইসলাম নামে একজন জানান, প্রতিবছর তিনি দুটি গরু লালন পালন করে থাকেন তার একটি গরু কোরবানি দিয়ে থাকেন অন্য একটি গরু বিক্রি করে থাকেন।

এব্যাপারে কেন্দুয়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা.ভাস্কর চন্দ্র তালুকদার জানান, কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে
১২ হাজারের অধিক বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু প্রস্তুত করা হয়েছে, তার মধ্যে উপজেলার সান্দিকোনা ইউনিয়নের আটিগ্রামের বুলবুল মিয়ার সাদাপাহাড় নামে সবচেয়ে বড় ষাড় গরু যার ওজন প্রায় ৩৮ মন। এছাড়াও খামারের পাশাপাশি ব্যক্তি পর্যায়ে বিভিন্ন জাতের গবাদিপশু পালন করা হচ্ছে। 

তিনি আরো বলেন, উপজেলার চাহিদার অতিরিক্ত কোরবানিযোগ্য গবাদি পশু দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যায় পাশাপাশি আবার অনেক জেলার পশুও এউপজেলায় আসে। তবে কেন্দুয়া উপজেলায় কোরবানির পশুর কোনো সঙ্কট হবে না বরং চাহিদার অতিরিক্ত পশু রয়েছে বলে তিনি জানান।

« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত