নাটোরের লালপুর উপজেলার কদিমছিলান নম্বর ১০ ইউনিয়ন এর ঘাটছিলান গ্রামে ধানের চাতাল থেকে বিষাক্ত রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলছে, ফলে উপজেলার সর্বত্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
লালপুর উপজেলার চরাঞ্চলসহ বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক বিষাক্ত রাসেল ভাইপার (চন্দ্রবোড়া) সাপের দেখা মিলছে এলাকায়, ফলে উপজেলার সর্বত্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
আজ শুক্রবার (২০ জুন) বিকেলে লালপুর উপজেলার ঘাট ছিলান গ্রামে ধানের চাতালের উপরে একটি রাসেল ভাইপারের দেখা মেলে। পরে সাপটিকে পিটিয়ে মেরে ফেলেন স্থানীয়রা। এর আগে ও পার্শ্ববর্তি উপজেলা ঈশ্বরদীর একধিক এলাকায় এই বিষাক্ত বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের দেখা গেছে। স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বেশ কয়েকদিন ধরে উপজেলার পদ্মা নদীর চরাঞ্চল তীরবর্তী বসবাস করা মানুষ আতঙ্কে রয়েছেন।
স্থানীয়দের দাবি, একের পর এক বিষধর রাসেল ভাইপার সাপের দেখা মিলছে। তবে ঈশ্বরদী এলাকার কৃষক রাজিব জানান, গত ১৬ মে আমার জমিতে ধান কাটতে গিয়ে দেখি ধানের মুঠির নিচে একটি সাপ শুয়ে আছে। সবাই মিলে সাপটিকে মেরে ফেলি। পরে দেখি এটি একটি বিষধর রাসেল ভাইপার।
গত ফেব্রুয়ারি মাসে বাদশার আলু ক্ষেতে আরও দুইটি রাসেল ভাইপার সাপ দেখা গেছে। এব্যাপারে লালপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার (আরএমও) মো. সুরুজ্জামান শামীম বলেন, চন্দ্রবোড়া বা উলু বোড়া সবচেয়ে বিষাক্ত ও এর অসহিষ্ণু ব্যবহার।
লম্বা বহির্গামী বিষদাঁতের জন্য অনেক বেশি লোক দংশিত হন। বিষক্রিয়ায় রক্ত জমা বন্ধ হয়ে যায়। ফলে অত্যধিক রক্তক্ষরণে অনেক দীর্ঘ যন্ত্রণার পর রোগীর মৃত্যু ঘটে। তিনি আরও বলেন, সাপ সাধারণত ডিম পাড়ে এবং ডিম ফুটে বাচ্চা হয়। তবে চন্দ্রবোড়া সাপ ডিম পাড়ার পরিবর্তে সরাসরি বাচ্চা দেয়। এরা বছরের যে কোনো সময় প্রজনন করে। একটি স্ত্রী সাপ গর্ভধারণ শেষে ২০ থেকে ৪০টি বাচ্চা দেয়। তবে কোনো কোনো চন্দ্রবোড়া সাপের ৮০টি পর্যন্ত বাচ্চা দেয়ার রেকর্ড আছে।