ফেনীর সোনাগাজীতে একটি পুকুরে বিষ প্রয়োগ করে মাছ নিধনের অভিযোগ উঠেছে। দুর্বৃত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে বলে দাবি করছেন ক্ষতিগ্রস্ত পুকুরের মালিক ইফতেখার উদ্দিন জুয়েল।
শুক্রবার গভীর রাতে উপজেলার মতিগঞ্জ ইউনিয়নের উত্তর পালগিরি গ্রামের লুতু কাজী বাড়ির ইফতেখার উদ্দিন জুয়েলের লিজকৃত পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ নিধনের ঘটনা ঘটে। সরজমিনে শনিবার সকালে গিয়ে দেখাযায় মাছ গুলো মরে পুকুরে পছে গেছে। পুরো পুকুর যেন সাদা বেলুন ফুলে আছে। জানা যায় শুক্রবার রাতে ঘটনাটি ঘটলেও পুকুরের মালিক জুয়েল মাছ গুলো কোন অক্সিজেন শর্ট হয়েছে কি না তার জন্য গত কাল সারা দিন চেষ্টা চালায় মাছ গুলো বাঁচতে। চেষ্টা চালিয়েও মাছ গুলো রক্ষা করা সম্ভব হয়নি।
কান্না জড়িত কন্ঠে ইফতেখার উদ্দিন জুয়েল বলেন, গত ৪ মাস আগে আমি আমার পুরাতন বাড়ির পুকুরটি বাড়ির লোকজনের অনুরোধ লিজ নিয়ে থাকি। লিজকৃত পুকুরের রুই, কাতল, মৃগেল, তেপাপিয়া ও পাঙ্গাশ সহ নানা জাতের প্রায় মাছ চাষ করছি। গত রাতে প্রায় ৩.২০ মিনিটের সময় একটি লোক পুকুর পাড়ে দাঁড়িয়ে থাকতে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গেছে। ধারণা করা হচ্ছে ঐ লোকটি বিষ প্রয়োগ করে মাছ গুলো মেরে ফেলেছে। সিসি ক্যামেরা লোকটি থেকে দূরে ও রাতের অন্ধকার হওয়ায় সনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। প্রায় মাছ গুলো বিক্রির উপযোগী। যার ওজন ৭৫০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের হয়ে গেছে। এতে আনুমানিক প্রায় ৬০ মণ মাছ যার মূল্য প্রায় ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে দাবী করছেন। ঋণের টাকা নিয়ে মাছ চাষ করেছি। এখন আমার কী হবে। তাছাড়া আমার আরো ৫ টি পুকুর ও যে পুকুরে মাছ মারা হয়েছে তার পূর্ব পাশে আমার ২ হাজার লেয়ার মুরগির সহ মোট ৮ হাজার মুরগীর খামার রয়েছে। আমি বর্তমানে এ খামার ও পুকুর গুলো নিয়েও শংকিত রয়েছি।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মিজানুর রহমান সেলিম বলেন, বিষয়টি শুনার পর ঘটনাস্থলে গিয়েছি। বিষয়টি অনন্ত দুঃখজনক। যা হয়েছে এটি মেরে ফেলা হয়েছে। তা না হলে এতগুলো মাছ এভাবে মরতে পারে না।
ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রবিউজ্জামান বাবু বলেন, মাছ মেরে ফেলার বিষয়টি জুয়েল আমাকে ফোনে জানিয়েছে। এটি অতন্ত্য দুঃখ জনক।
সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সুদ্বীপ রায় বলেন, বিষয়টি জানতে পেরেছি। এখনো এ বিষয়ে কোন লিখিত অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।