বেতন পরিশোধ করতে না পারায় ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যেতে দেওয়া হয়নি শিশুটিকে। মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা তাকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ঘর পরিষ্কারসহ যাবতীয় কাজ করিয়ে নেয়। এতেও ক্ষান্ত হননি তিনি। বাড়ির সবাই দাওয়াত খেতে গেলে শিশুটিকে একা পেয়ে ধর্ষণ করেনন।
এ অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাট পৌরশহরের কাশিয়াবাড়ি হযরত ফাতেমা (রা.) কওমি হাফেজিয়া বালিকা মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মামলা করা হলে শহরের মাছুয়া বাজার এলাকা থেকে আজিজুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি পৌরশহরের কাশিয়াবাড়ি মহল্লার বাসিন্দা।
অভিযোগ থেকে জানা গেছে, নওগাঁর ধামুইরহাট উপজেলার ভুক্তভোগী শিশুটি মাদ্রাসায় চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ে। ঈদের ছুটিতে শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ বাড়িতে চলে যায়। ১৬ জুন শিশুটির মা মাদ্রাসায় যান। কিন্তু মাসিক টাকা বকেয়া থাকায় মেয়ের সঙ্গে তাকে দেখা করতে দেননি আজিজুল। পরে বেতনের টাকা উসুল করতে আজিজুল হক শিশুটিকে নিজ বাড়িতে নিয়ে ঘরের কাজ করিয়ে নিতেন।
ঈদের পর বাড়ির সবাই দাওয়াত খেতে গেলে গোয়ালঘরে কাজ করার সময় ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করেন আজিজুল। ছাত্রীটি কৌশলে পালিয়ে মাদ্রাসার পাশে সহপাঠীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। পরে সহপাঠীর বাবাকে ঘটনা খুলে বললে তিনি তাকে জয়পুরহাট সদর থানায় নিয়ে যান। পুলিশ ছাত্রীর কাছ থেকে ঘটনা জেনে মাছুয়া বাজার থেকে আজিজুলকে গ্রেপ্তার করে।
শিশু ধর্ষক আজিজুল হক ফেন্সি
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থী জানায়, আজিজুল হককে বাবা ডেকেও সে রেহাই পায়নি। পরে কৌশলে সেখান থেকে পালিয়ে সহপাঠীর বাড়িতে আশ্রয় নেয়। সে আজিজুল হকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চেয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা জয়পুরহাট সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রুবেল জানান, রোববার দুপুরে দুইজন মহিলা ও একজন পুরুষ ছোট এক মেয়েকে থানায় আসে। এরপর তাদের কাছ থেকে জানতে পারি শিশুটিকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করা হয়েছে। যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি শহরের কাশিয়াবাড়ি এলাকায় একটি বালিকা কওমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা আজিজুল হক ফেন্সি। তিনি ওই ছাত্রীর মাদরাসার বেতন পরিশোধ না করায় তাকে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে সেখান থেকে শিশুটি পালিয়ে এসেছে। এ ঘটনার পর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আজিজুল হক ফেন্সিকে মাছুয়া বাজার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারের পর আজিজুল হক ফেন্সি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছে এবং তিনি শিশুটিকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছে। তাকে সোমবার জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।