নেত্রকোনায় কেন্দুয়ায় মোটর বাইক চোরেরা সক্রিয়, চুরি থেকে বাদ যায়নি পুলিশ,মেয়র,রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকরাও।
পুলিশ,মেয়র,রাজনৈতিক নেতা ও সাংবাদিকসহ সাধারণ মানুষের একাধিক মোটর বাইক চুরির ঘটনায় যেন উপজেলার নিত্য দিনের ঘটনা। কিছুতেই থামছে না মোটরসাইকেল চুরি।
প্রায় সময়ই সংঘবদ্ধ চোরচক্র পৌরশহরের বিভিন্ন বাসাবাড়িসহ উপজেলার অন্যান্য এলাকা থেকে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে মোটরসাইকেল।
এতে মোটরসাইকেল চোর আতঙ্কে রয়েছেন সাধারণ মানুষ। তবে একের পর এক চুরির ঘটনা ঘটলেও পুলিশ এখনও পর্যন্ত কোনো গাড়ি উদ্ধার কিংবা কোনো চোরকে গ্রেফতার করতে না পারায় ভুক্তভোগীরা অসন্তুষ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে সর্বশেষ গত বুধবার রাতে দৈনিক জনকণ্ঠের কেন্দুয়া প্রতিনিধি মোঃ কামরুল কবীর ভূঞার পৌরশহরের কান্দিউড়া গ্রামের বাড়ি থেকে টিভিএস ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা।
এঘটনায় বৃহস্পতিবার কেন্দুয়া থানায় জিডি করেছেন কামরুল কবীর।
এব্যাপারে কামরুল কবীর ভূঞা বলেন, আমি বুধবার সন্ধ্যায় বাসার সামনে মোটরসাইকেলটি রেখে বাসার ভিতরে যাই। বাসায় খাওয়া শেষ করে অল্প সময় বিশ্রাম নিয়ে বাইরে যাওয়ার জন্য রুম থেকে বের হয়ে দেখি যে যায়গায় মোটরসাইকেল রেখেগিয়েছিলাম সেখানে সেটি নেই। তাৎক্ষণিক এদিক সেদিক খোঁজাখুঁজি করে আমার মোটরসাইকেলটি পায়নি।
আক্ষেপ করে তিনি আরো বলেন, কেন্দুয়াতে মোটরসাইকেল চুরি এখন নিত্য দিনের ঘটনা। কিছুদিন আগেই আমার চাচা পৌর মেয়রের মোটরসাইকেলটি একই কায়দায় চুরি করে নিয়ে যায়। আমি কেন্দুয়া থানার পুলিশকে বিশেষ ভাবে বলব,আপনারা আপনাদের দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে ঐ মোটরসাইকেল চুরির সংগঠিত চক্রটিকে ধরে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত শাস্তি দেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে আরো জানা গেছে, এর আগে কেন্দুয়া পৌর মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুল হক ভূঞার পৌরশহরের কান্দিউড়া গ্রামের বাড়ি থেকে ডিসকভার ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বিপুলের পৌরশহরের নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকার বাসা থেকে ডিসকভার ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল, পৌরসভার শান্তিবাগ এলাকা থেকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য তোফায়েল খানের বাসার গ্রিল কেটে ডিসকাভার মোটর বাইক, পৌরশহরের রূপালী ব্যাংক এলাকা থেকে জেলা যুবলীগ নেতা আব্দুল ওয়াহাব ঝুটনের প্লাটিনা ব্যান্ডের একটি মোটরসাইকেল চুরি করে নিয়ে যায় চোরেরা।
এছাড়াও কেন্দুয়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদীর পৌরশহরের শান্তিবাগ এলাকার ভাড়া বাসা থেকে একটি মোটরসাইকেল চুরি হওয়ার ঘটনাও ঘটে।
ভুক্তভোগী আব্দুল ওয়াহাব ঝুটন বলেন, আমার মোটরসাইকেলটি চুরি হওয়ার পর থানায় জিডি করেছি। কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেলেও গাড়ির কোনো হদিস পাইনি।
এ বিষয়ে কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. এনামুল হক পিপিএম সাংবাদিকদের বলেন, মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে মোটরসাইকেল মালিকরা জিপিএস ব্যবহার না করায় সহজে চুরি যাওয়া গাড়িগুলো উদ্ধার করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত জিপিএস ব্যবহার করার জন্য সকল মোটর বাইক মালিকদেরকে অনুরোধ জানান তিনি।