বুধবার ২ জুলাই ২০২৫ ১৮ আষাঢ় ১৪৩২
বুধবার ২ জুলাই ২০২৫
বর্ষা এলেই চরম ভোগান্তি, বাঁশের সাঁকোই একমাত্র ভরসা
প্রকাশ: রবিবার, ১৪ জুলাই, ২০২৪, ১:১১ PM
দুই গ্রামের মাঝখানে সংযোগ সড়ক। বর্ষাকাল এলেই এই সংযোগ সড়কটি পানিতে ডুবে যায়। তখন চরম ভোগান্তি পোহাতে হয় গ্রামের হাজারো মানুষের। 

তাৎক্ষণিক এলাকাবাসী মিলে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। কোন উপায় না পেয়ে বাধ্য হয়ে বাঁশের সাঁকো দিয়েই পারাপার হতে হয় তাদের। তাই বাঁশের সাঁকোটিই দুই গ্রামবাসীর একমাত্র ভরসা। 

নেত্রকোনার কেন্দুয়া  উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের মোজাফরপুর এবং নয়াপাড়া মিলেই দুটি গ্রাম। এই দুই গ্রামের হাজার লোকজনের চলাচলের জন্য রয়েছে একটি মাত্র সংযোগ সড়ক। এই সড়কটি নীচু হওয়ায় বর্ষাকাল এলেই পানির নীচে তলিয়ে যায়। তখন এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেন। ফলে বর্ষাকালে এই ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকো পারাপারে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে দুই গ্রামবাসীর।

যুগের স্রোতে বিভিন্ন জনপদের চেহারা পাল্টালেও এখানে বাঁশের সাঁকোটির স্থানে নির্মিত হয়নি কোনো উঁচু সড়ক । এই নীচু সংযোগ সড়কটির জন্য দ্বিখণ্ডিত হয়ে আছে গ্রাম ও গ্রামের সার্বিক যোগাযোগ ব্যবস্থা। এতে বর্ষার সময়ে সাঁকো দিয়ে চলাচলে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীসহ জনসাধারণকে।

তবে চরম ভোগান্তির মধ্যে দিয়েই প্রতিদিন এই বাঁশের সাঁকো পার হয়ে তাড়াইল বাজার,মোজাফরপুর বাজার, সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেন্দুয়া সরকারি কলেজ, মহিলা কলেজ, মোজাফরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ উপজেলা সদর হাসপাতালে যেতে হচ্ছে শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসীর।

সরেজমিনে রোববার (১৫ জুলাই) সকালে  স্থানীয় বাসিন্দা আ: জব্বার ও রেনু মিয়ার সাথে কথা হলে তারা বলেন, বর্ষা এলেই এই সংযোগ সড়ক পানিতে ডুবে যায়, যার জন্যে দুই গ্রামের মানুষের চলাচলের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তারা মনে করেন, এই সংযোগ সড়কটি উঁচু করে নির্মাণ না হওয়ায় তাদের এই ভোগান্তি।

পাশাপাশি শিক্ষা, চিকিৎসা ও কৃষি ক্ষেত্রেও গ্রামের লোকজনকে নানা সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। এ নড়বড়ে সাঁকো দিয়ে বর্ষাকালে  স্কুল-কলেজের ছাত্রছাত্রী, কৃষক, ব্যবসায়ী, চাকরীজীবী, হাঁট-বাজারের লোকজন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে। তবে এখানে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক  নির্মিত হলে এ লাকার মানুষের ভোগান্তি লাঘব হবে।

এব্যাপারে উপজেলার মোজাফফরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. জাকির আলম ভূঞা বলেন, এই সাঁকো দিয়ে বর্ষাকালে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে গ্রামবাসী চলাচল করছেন। এবছর আমার ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে একটি বাঁশের সাঁকো তৈরি করে দিয়েছি। এখানে একটি উঁচু সংযোগ সড়কের ব্যবস্থা করা হলে গ্রামবাসীর দীর্ঘ বছরের দুঃখ লাগব হবে। এই দুই গ্রামের মাঝে একটি  উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি। 

কেন্দুয়া  উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আল আমিন সরকার বলেন, আমি এউপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। এই সংযোগ সড়কটির আইডি আছে কিনা তা দেখব তারপর এই দুই গ্রামের মাঝে একটি উঁচু সংযোগ সড়ক নির্মানের জন্য উর্ধ্বতন কর্তপক্ষের নিকট আবেদন পাঠানো হবে বলে তিনি জানান। 
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত