ইমোতে ছাত্রীকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) বায়োটেকনোলজি অ্যান্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষকের নাম ড. আজিজুল ইসলাম। তিনি ওই বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক।
এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়ে বিচার চেয়েছেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এতে তিনি ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ক্লাসে ও ফোনকলে নানাভাবে হয়রানি করার অভিযোগ উল্লেখ করেছেন। পরে এ অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে বিভাগ থেকে আজিজুল ইসলামকে সব কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
জানা গেছে, গত ২৯ জুন বিভাগের সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন বিভাগটির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ওই ছাত্রী। এ ছাড়া কল না ধরলে ফল খারাপ করানো, কুরুচিপূর্ণ মেসেজ দেওয়া, যৌন হয়রানি ও বাজে ইঙ্গিত প্রদান—এসব নানাবিধ অভিযোগ করা হয়েছে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
অভিযোগপত্রে ওই ছাত্রী বলেন, ‘স্যার আমাকে ইমোতে ভিডিও কল দেন। আমি কল রিসিভ না করায় পরে অডিও কল দেন।’ তিনি বলেন, ‘অনেক দিন তোমাদের দেখি না, তোমরা মোটা হয়েছো না চিকন হয়েছো দেখার জন্য ভিডিও কল দিচ্ছি।’ তারপর তিনি বলেন, ‘তোমার কি কথা বলার লোক আছে?’ আমি বলি, ‘না, নেই ।’ তখন তিনি বলেন, ‘এখন বলছ কেউ নাই, কিছুদিন পর তো দেখব, ক্যাম্পাসে কোনো ছেলের হাত ধরে ঘুরছ।’
ছাত্রী আরও বলেন, ‘স্যার ক্লাসে বিভিন্ন সময় আমাকে উদ্দেশ্য করে বাজে ইঙ্গিত করে কথা বলেন। আমার উচ্চতা নিয়ে তিনি কুরুচিপূর্ণ জোকস করেন। আমি বিবাহিত হওয়ায় বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রীর ব্যক্তিগত জীবন ও সম্পর্ক নিয়ে আমাকে বিভিন্ন মন্তব্য করেন। তিনি আমাকে সবার মাঝে ক্লাসে দাঁড় করিয়ে “মেন্সট্রুয়েশন সাইকেল” নিয়ে কুরুচিপূর্ণ কথা বলেন, যা আমার জন্য খুবই অপমানজনক। এভাবে বিভিন্ন সময় উনি ক্লাসে বাজে ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলার পাশাপাশি বডি শেমিং করেন এবং হুমকি দেন যে তার কোর্সে ভালো রেজাল্ট করতে পারব না।’
অভিযুক্ত শিক্ষক ড. আজিজুল ইসলাম বলেন, ‘আমি আপাতত আপসেট আছি। এ বিষয়ে আমি কোনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।’