বন্দরের মদনপুর দেওয়ানবাগ এলাকায় অবস্থিত দেওয়ানবাগীর দরবার ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করে গুড়িয়ে দিয়েছে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।
গতকাল ৬ সেপ্টেম্বর শুক্রবার ভোর রাতে কয়েক হাজার মানুষ একত্রিত হয়ে দরবার ভাংচুর চালিয়ে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার বিকালে বির্তকিত দেওয়ানবাগী পীরের জন্মবার্ষিকী পালনের প্রস্ততি নিচ্ছিল। এসময় দেওয়ানবাগ জামে মসজিদের মুসল্লীরা বাধা দিলে পীরের অনুসারিরা মুসল্লীদের ধাওয়া করে। এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে।
এঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসীদের উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। গতকাল শুক্রবার ভোরে আশপাশের ১০ গ্রামের মুসল্লীরা ঐক্যবদ্ধ দেওয়ানবাগী পীরের আস্তানার দরবারে হানা দিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে। এ খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, এএসপি বিল্লাল হোসেন ও বন্দর থানার ওসি গোলাম মোস্তফা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
এলাকাবাসী জানান, প্রায় ৩০ বছর পূর্বে দেওয়ানবাগী পীর মাহবুব-এ-খোদা ইসলাম নিয়ে নানা বক্তব্য দিয়ে বির্তকিত হয়েছিলেন। তিনি নিজেকে খোদাও দাবি করায় আলেম ওলামাদের মধ্যে তার বিরোধ সৃষ্টি হয়। ওই সময় দেওয়ানবাগী পীরের অনুসারিদের সংঙ্গে চরমোনাই অনুসারী ও এলাকাবাসীর ব্যপক সংঘর্ষ হয়। এঘটনায় হতাহতের ঘটনা ঘটে ছিলো। ২০২০ সালে দেওয়ানবাগী পীর মারা যায়। তারপর থেকে মদনপুরের দেওয়ানবাগ এলাকায় এ আস্তানায় কার্যক্রম ব্যহত ছিল।
গত বৃহস্পতিবার থেকে তাদের নতুন করে কার্যক্রম শুরু করলে এলাকাবাসীর প্রতিরোধে পড়েন দেওয়ানবাগীর অনুসারীরা। বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি গোলাম মোস্তফা বলেন, হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা তদন্ত করে জড়িতের চিহিৃত করে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।