হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ আলেম মাওলানা মামুনুল হক বলেছেন, সরকারের শীর্ষ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছিল ইজতেমা ময়দান ফেব্রুয়ারিতে সাদপন্তীদের বুঝিয়ে দেওয়া আমরা মেনে নিয়েছিলাম। সরকারের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে আমরা কাকরাইল মসজিদে তাদের প্রবেশের সুযোগ দিয়েছিলাম।
কিন্তু ইদানিং লক্ষ্য করছি সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্তকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে প্রশাসনের কতিপয় কর্মকর্তা ময়দান ছেড়ে দেওয়ার জন্য সময় বেঁধে দিচ্ছেন। তাদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, আমরা সংঘাত চাই না কিন্তু আপনাদের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে আপনারা ফ্যাসিবাদের দোসর। কোন ফ্যাসিবাদের দোসরকে বৈষম্য বিরোধী সরকারের অংশ হিসেবে আমরা মেনে নেব না।
প্রয়োজনে আবারও রক্ত দিতে আমরা প্রস্তুত আছি। আজ থেকে আমরা ইজতেমা পর্যন্ত ময়দানে অবস্থান করবো ইনশাআল্লাহ। রবিবার বিকেলে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দান সংলগ্ন টঙ্গী উত্তরা সংযোগ সড়কে এক বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাওলানা ওবায়দুল্লাহ ফারুকের সভাপতিত্বে এবং মাওলানা কেফায়েত উল্লাহ আজহারীর সঞ্চালনায় এসময় বক্তব্য রাখেন, মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, মাওলানা ফজলুল করিম কাসেমী, মুফতি আমানুল হক, মুফতি মাসুদুল কারিম, মাওলানা হামেদ জাহেরি প্রমুখ। আরোও উপস্থিত ছিলেন - মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী, মাওলানা আনিসুর রহমান, মাওলানা সালাউদ্দিন সহ দাওয়াত ও তাবলীগের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরাম।
সমাবেশে বক্তারা চার দফা দাবি উপস্থাপন করে বলেন, দাওয়াত ও তাবলীগের মেহনতকে বিনষ্টের ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে চিহ্নিত প্রধান উপদেষ্টার সহকারী উপদেষ্টা মোহাম্মদ খোদা বক্স সাহেব ও গাজীপুরের পুলিশ কমিশনার নাজমুল করিমকে অনতিবিলম্বে অপারেশন করতে হবে। সরকারি সিদ্ধান্ত মোতাবেক ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ পর্যন্ত টঙ্গী বিশ্ব ইজতেমা মাঠ শুরায়ী নেজামের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
কোন অবস্থাতেই এদেশে মাওলানা সাদ সাহেবকে আসতে দেওয়া হবে না। দেশের শীর্ষস্থানীয় ওলামায়ে কেরামের বিরুদ্ধে মানহানিকর মিথ্যা মামলা প্রদানকারী, পহেলা ডিসেম্বর ২০১৮ সালে টঙ্গী মাঠে ছাত্র তাবলীগের সাথিদের উপর সাদপন্থীদের সন্ত্রাসী হামলার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি প্রদান করতে হবে।