নারী নির্যাতনের মামলায় দেশ বিদেশে ব্যাপক সমালোচিত বহিষ্কৃত শ্রমিক লীগ নেতা বগুড়ার সেই তুফান সরকারকে আবারো গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলায় ১৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামী ছিলেন। ২৩ ডিসেম্বর সোমবার রাতে বগুড়া জেলা পুলিশ শহরের চকসূত্রাপুরের বাসা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে।
তুফান সরকার বগুড়া শহর শ্রমিক লীগের আহ্বায়ক ছিলেন। তিনি শহরের চকসূত্রাপুর এলাকার প্রয়াত মজিবর রহমান সরকারের ছেলে। গ্রেফতারকৃত তুফান সরকারের বিরুদ্ধে হত্যা, ধর্ষণ, নারী নির্যাতনসহ ২১টি মামলা বিচারাধীন রয়েছে। বগুড়ার পুলিশের মিডিয়া সেল থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য মঙ্গলবার আদালতে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।
তাঁর বিরুদ্ধে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত ১ কোটি ৫৯ লাখ ৬৮ হাজার ১৮২ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চলতি বছেরর ২৭ নভেম্বর বগুড়ার স্পেশাল জজ মোহাম্মদ শহীদুল্লাহ দুদকের মামলায় শুনানি শেষে তুফান সরকারকে ১৩ বছরের সাজা প্রদান করেন।
এর আগে ভালো কলেজে ভর্তির করিয়ে দেওয়ার কথা বলে ২০১৭ সালের ১৭ জুলাই জনৈক এক ছাত্রীকে বাসায় নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। বিষয়টি জানাজানি হলে তুফান সরকারের সাবেক স্ত্রীর বড় বোন তৎকালীন পৌর কাউন্সিলর মারজিয়া এবং তুফানের সাবেক স্ত্রী ওই মেয়ে ও তাঁর মাকে তুলে নিয়ে নির্যাতনের পর মাথা ন্যাড়া করে দেয়ার খবরে দেশব্যাপী তোলপাড় শুরু হয়।
এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত মা-মেয়েকে উদ্ধার করে প্রথমে মারজিয়া ও পরে তুফান সরকারসহ সহযোগীদের আটক করে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। এ মামলায় দীর্ঘ সময় কারাগারে ছিলেন তুফান সরকার। পরে বাদীর সঙ্গে আপস করে কারাগার থেকে বের হয়ে আসেন তুফান ও তার সহযোগীরা।
জেলা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত কয়েকদিন আগে তার অপর সহদর ভাই সোহাগ সরকারকে হত্যা চাঁদাবাজি নির্যাতন এবং বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় বেশ কয়েকটি ঘটনায় তার বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মামলাআয় অভিযোগে সহ বিভিন্ন অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
এছাড়াও নামে বগুড়ার ত্রাস নামে পরিচিত তুফান সরকারের বড় ভাই হত্যা, নির্যাতন, চাঁদাবাজি, ভূমি দখলসহ বিভিন্ন অভিযোগে দায়েরকৃত প্রায় দুই ডজন মামলার আসামি মতিন সরকারকে গ্রেফতারের জন্য জোর প্রচেষ্টা চলছে।