বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নারী প্রতিনিধি ও দুই সমন্বয়কের ওপর হামলা করে রক্তাক্ত করার অভিযোগ উঠেছে কলেজ ছাত্রদলের এক নেতার বিরুদ্ধে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে ফেনী জেনারেল হাসপাতালের সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন—আবদুল্লাহ আল মাহফুজ, সালমান হোসেন ও নাদিয়া আক্তার খুশি।
আহতদের মধ্যে মাহফুজ ফেনী শহরের আরামবাগ এলাকার আবদুল মান্নানের ছেলে ও সালমান সদর উপজেলার পাঁচগাছিয়া ইউনিয়নের বিজয় সিংহ এলাকার বশির আহম্মদের ছেলে এবং খুশি সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের আবুল কালামের মেয়ে।
আহত সালমান জানান, হাসপাতালে একজন রোগীকে দেখে ফেরার সময় ফেনী সরকারি কলেজ ছাত্রদলের সদ্য বহিষ্কৃত সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জিল্লুর রহমানের নেতৃত্বে ছাত্রদলের ১৫-২০ জনের একটি গ্রুপ তাদের ওপর হামলা চালায়।
গুরুতর আহত মাহফুজকে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক ও জাতীয় নাগরিক পার্টির দপ্তর সম্পাদক সালেহ উদ্দিন সিফাত বলেন, কয়েকদিন আগে হামলাকারী ছাত্রদল নেতা জিল্লুরের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির খবর প্রকাশের পর ওই সাংবাদিককে হত্যা হুমকি দিয়েছিল। এরপরও এই অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে কোনো আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
সিফাত আরও বলেন, ফেনীর প্রশাসন এবং কেন্দ্রীয় ছাত্রদল এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেয় আমরা দেখতে চাই। পুরোনো সহিংসতার সংস্কৃতি আমরা আর ফিরতে দেব না। অবিলম্বে হামলাকারীকে আইনের আওতায় আনতে হবে।
ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সামছুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। অভিযোগ হাতে পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।