সংকট কাটছে না খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট)। গত ৪ মে থেকে একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা থাকলেও রোববার (১৮ মে) পর্যন্ত ক্লাসে পাঠদানে ফেরেননি শিক্ষকরা।
এদিকে সোমবার (১৯ মে) দুপুর ১২টার মধ্যে কুয়েটে সংঘর্ষ ও শিক্ষক লাঞ্ছিতের ঘটনায় দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম শেষ না হলে একাডেমিক কার্যক্রমের পাশাপাশি সব প্রকার প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
রোববার দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সভাকক্ষে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভা শেষে এ সিদ্ধান্ত নেন তারা।
এর আগে শিক্ষকরা তাদের দাবির বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয় বিশ্ববিদ্যালয় আইনের বাইরে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন দোষীদের বিচারিক কার্যক্রম স্থগিত করে রেখেছে।যার কারণে কুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম সংকটের মধ্যে পড়েছে। মাত্র কয়েকজন শিক্ষার্থীর স্বার্থ রক্ষায় ও ওপর মহল নামক অদৃশ্য শক্তিকে তুষ্ট করছে বর্তমান প্রশাসন।
সোমবার দুপুর ১২টার মধ্যে প্রশাসন কোনো সন্তোষজনক সিদ্ধান্ত না নিলে উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান ধর্মঘটের ঘোষণা দিয়েছে শিক্ষক সমিতি।
প্রসঙ্গত, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে শিক্ষার্থীদের ওপর সন্ত্রাসী হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ভিসি, প্রোভিসি ও ডিএসডাবলিউর পদত্যাগ দাবি করেন শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘ প্রায় আড়াই মাস টানা আন্দোলন এবং ভিসির পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আমৃত্যু অনশন কর্মসূচির পরিপ্রেক্ষিতে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ এবং উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অপসারণ করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।