রবিবার ১৫ জুন ২০২৫ ১ আষাঢ় ১৪৩২
রবিবার ১৫ জুন ২০২৫
ভোলায় বেড়িবাধ ভেঙ্গে লোকালয় প্লাবিত
ভোলা প্রতিনিধি
প্রকাশ: শুক্রবার, ৩০ মে, ২০২৫, ৬:৪৯ PM
উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি নিম্নচাপে পরিণত হয়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে ভোলা থেকে ২৫০ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থান করছিল। 

এর প্রভাবে মেঘনা ও তেতুলিয়া উত্তাল হয়ে উঠেছে এবং বড় বড় ঢেউ আছড়ে পড়ছে উপকূলজুড়ে। মেঘনার অতিরিক্ত জোয়ারে এবং পানিউন্নয়ন বোর্ড ও ঠিকাদারের গাফরতিতে তজুমদ্দিনের সুইলেজ গেটের বেড়ি বাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে কয়েকশত বাড়ি-ঘর পানির নিচে তলিয়ে গেছে। পানিতে আটকা পরেছে হাজার হাজার পরিবার, গবাদি পশু। তলিয়ে গেছে রাস্তা, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, পুকুর, ঘের।

বুধবার গভীর রাত থেকে শুরু হওয়া বৃহস্পতিবার বিকাল পর্যন্ত-ঝড়ো হাওয়া, গুড়ি, মাঝারি ও ভারী বৃষ্টিপাত এবং জোয়ারের প্রভাবে জেলার নদীর পানি বিপদসীমার ২৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এতে ভোলার বিভিন্ন নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। 

জলাবদ্ধতার পাশাপাশি পানি বন্দি হয়ে পড়েছে হাজার হাজার পরিবার। সদরের মাঝের চর, দৌলতখান, বোরহান উদ্দিন, তজুমদ্দিন, লালমোহন, চরফ্যাশন ও মনপুরার শতাধীক চর, রাস্তা,ঘর-বাড়ি, বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান  ও ঘের পানিতে তলিয়ে গেছে। 

ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ড জানান, বিপদসীমার ওপরে পানি প্রবাহের কারণে বেড়িবাঁধের বাইরের এলাকা প্লাবিত হয়েছে। ঝুকিপুর্ণ বেড়িবাধে জিও ব্যাগ দিয়ে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা চলছে। তজুমদ্দিনের বেড়িবাধ ভেঙ্গে লোকালয়ে পানি ঢুকে পরে শত শত ঘর বাড়ি তলিয়ে গেছে।

ভোলা বিআইডব্লিটিএর কর্মকর্তা জানান, জেলার অভ্যন্তরীণ ১০টি রুটে ছোট-বড় সব লঞ্চ চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। স্পিডবোট চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় (বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত) ৯০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। বৃষ্টি আগামী ৩ দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে, পরে আস্তে আস্তে কমতে পারে বলে জানান তিনি।

জেলা প্রশাসক মোঃ আজাদ জাহান জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবেলায় খাদ্য, উদ্ধার, চিকিৎসাসহ জেলায় ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র, গবাদী পশুর জন্য ১৪টি কিল্লা, ৯৮টি মেডিকেল টিম, ২১টি পশুর চিকিৎসা কেন্দ্র, ২ লাখ ৯১ মেট্রিক টন চাল, ১ হাজার ১৫ প্যাকেট শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। নগদ রয়েছে ৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। গবাদী পশুর খাদ্যের জন্য ৫ লাখ টাকা রয়েছে। ১৩ হাজার ৮’শ সেচ্ছাসেবী কাজ করছে। জেলায় ক্ষতির পরিমান নিরুপণ করা যায়নি। 

উপকূলীয় জেলা ভোলা ও তৎসংলগ্ন উপজেলা গুলোতে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত জারি করা হয়েছে। এ সময় মাছ ধরা নৌকা-ট্রলার গুলোকে নদীর তীরবর্তী স্থানে থাকতে অনুরোধ করা হয়েছে। 


« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত