ঝিকরগাছায় মাদ্রাসাছাত্রী সোহানা আক্তার (১০) হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় সোহানার ফুপাতো ভাই নাজমুস সাকিব নয়নকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোহানাকে প্রথমে ধর্ষণ এবং পরে শ্বাসরোধে হত্যার পর মরদেহ পুকুরে ফেলে আসা হয় বলে জানিয়েছে পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১৩ জুন) বিকেল ৪টার দিকে এক বিজ্ঞপ্তিতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। নিহত সোহানা আক্তার (১০) নাভারণের চাঁদপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে। গ্রেপ্তার ফুপাতো ভাই নাজমুস সাকিব নয়ন হাড়িয়া গ্রামের ইলিয়াস রহমানের ছেলে। তিনি মনিরামপুর উপজেলার মাছনা কওমী মাদরাসার ছাত্র।
জিজ্ঞাসাবাদে নয়ন জানান, ঘটনার দিন তার মামাতো ভাই রিয়াজকে মামাবাড়ি দিয়ে নিজ বাড়িতে এসে দেখে তার ছোট বোন তন্নী রুমে ঘুমিয়ে আছে এবং বাইরে মামাতো বোন সোহানা দোলনায় দোল খাচ্ছে। সোহানাকে একা দেখে নয়নের মনে যৌনবাসনা জাগে এবং জাপটে ধরে তার রুমে নিয়ে গলা ও মুখ চেপে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে সোহানা শ্বাসরোধে মারা গেলে নয়ন মরদেহ বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ফেলে দিয়ে আসেন।
পরে তার বোন তন্নীকে ঘুম থেকে জাগিয়ে বিষয়টি গোপন করতে সোহানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে মিথ্যা কাহিনী সাজাতে থাকেন। এরপর নয়ন তার বোনকে নিয়ে মামাবাড়ি যাযন এবং সোহানাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানান।
উল্লেখ্য, গত ৭ জুন ঈদের দিন নিজ বাড়ি চাঁদপুর থেকে পার্শ্ববর্তী হাড়িয়া গ্রামে ফুফুবাড়িতে বেড়াতে যায় মাদরাসাছাত্রী সোহানা আক্তার। পরের দিন রোববার তার মরদেহ পার্শ্ববর্তী মানিকালি গ্রামের একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় সোহানার বাবা আব্দুল জলিল ওই দিন রাতেই ঝিকরগাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ সোহানার ফুফা ইলিয়াস, ফুফু ফাতেমা, ফুফাতো ভাই নয়ন ও বোন তন্নীকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে। একপর্যায়ে নয়ন সোহানাকে ধর্ষণের পর হত্যা করেছে বলে স্বীকার করে।
যশোর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (নাভারণ সার্কেল) নিশাত আল নাহিয়ান বলেন, হত্যাকাণ্ডের পর বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে পুলিশ এর রহস্য উদঘাটন করেছে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়েছে।