পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (পবিপ্রবি) যথাযোগ্য মর্যাদায় ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপিত হয়েছে।
আজ ৭ নভেম্বর (শুক্রবার) সকাল ৮টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গণ থেকে উপাচার্যের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে টিএসসি কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় মিলিত হয়। দিবসটি উপলক্ষে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে পবিপ্রবি ইউট্যাব, জিয়া পরিষদ, ছাত্রদল এবং জাতীয়তাবাদী কর্মচারীবৃন্দ।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক স্বরাষ্ট্র ও বাণিজ্যমন্ত্রী এবং বিমানবাহিনীর সাবেক প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী। অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস. এম. হেমায়েত জাহান, কাঁঠালতলী আক্তার হোসেন চৌধুরী মেমোরিয়াল কলেজের অধ্যক্ষ গাজী মোঃ বজলুর রহমান এবং জিয়া পরিষদের সভাপতি মোঃ আবুবকর সিদ্দিক।
উক্ত সভায় সভাপতিত্ব করেন পবিপ্রবি ইউট্যাব সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মামুন অর রশিদ এবং সঞ্চালনা করেন পবিপ্রবি ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোহেল রানা জনি।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এয়ার ভাইস মার্শাল (অব.) আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, “৭ নভেম্বর আমাদের জাতীয় জীবনের এক ঐতিহাসিক দিন। এ দিনটি বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, স্বাধীনতা ও জাতীয় সংহতি রক্ষার এক অনন্য অধ্যায়। জাতির সংকটময় মুহূর্তে সৈনিক ও জনতার ঐক্য দেশকে নতুন পথে এগিয়ে নিয়েছিল। তরুণ প্রজন্মকে সেই দেশপ্রেম, ঐক্য ও দায়িত্ববোধের চেতনা ধারণ করে বাংলাদেশের উন্নয়নে কাজ করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গত সরকারের সময় দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন আমাদের দায়িত্ব— ঐক্যবদ্ধভাবে শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর সার্বিক উন্নয়নে কাজ করা।” এসময় তিনি লেবুখালী ইউনিভার্সিটি স্কয়ারে অবস্থিত দিকনির্দেশক স্মারক যুদ্ধবিমানটি দ্রুত পুনঃস্থাপনের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও উপাচার্য অধ্যাপক ড. কাজী রফিকুল ইসলাম বলেন, “বিপ্লব ও সংহতির চেতনা কেবল রাজনৈতিক নয়, এটি জাতির আত্মবিশ্বাস ও দায়িত্ববোধের প্রতীক। সততা, দেশপ্রেম ও দায়িত্বশীলতার সঙ্গে কাজ করলেই প্রকৃত জাতীয় সংহতি প্রতিষ্ঠা সম্ভব।”
তিনি আরও বলেন, “৭ নভেম্বর বাংলাদেশের ইতিহাসে ঐক্য, দেশপ্রেম ও জাতীয় সংহতির প্রতীকী দিন। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সবাইকে দেশপ্রেম, সুশাসন ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রতিষ্ঠায় একযোগে কাজ করতে হবে।”
উল্লেখ্য, আলোচনা সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মোঃ ইকতিয়ার উদ্দিনসহ বিভিন্ন অনুষদের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করেন।