ভারতের তামিলনাড়ুর কোয়েম্বাটোরে নৃশংস এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা করার পর রক্তাক্ত মরদেহের সঙ্গে সেলফি তুলে সেটি হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস হিসেবে পোস্ট করেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (৩০ নভেম্বর) একটি মহিলা হোস্টেলে। এ খবর জানিয়েছে এনডিটিভি।
পুলিশ জানায়, নিহত শ্রীপ্রিয়া (২৮) কয়েক মাস আগে দাম্পত্য কলহের কারণে স্বামী বালামুরুগানকে (৩২) ছেড়ে কোয়েম্বাটোরে এসে একটি মহিলা হোস্টেলে থাকছিলেন এবং একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি নেন। তিন সন্তান তিরুনেলভেলিতে স্বামীর সঙ্গেই ছিল।
গতকাল দুপুরে শ্রীপ্রিয়ার সঙ্গে দেখা করতে হোস্টেলে যান বালামুরুগান। তার জামার নিচে লুকানো ছিল একটি ধারালো কাস্তে। কথা বলতে গিয়েই দুজনের মধ্যে তীব্র ঝগড়া শুরু হয়। এক পর্যায়ে বালামুরুগান সেই কাস্তে দিয়ে শ্রীপ্রিয়াকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করেন।
হত্যার পর তিনি স্ত্রীর রক্তাক্ত মরদেহের পাশে দাঁড়িয়ে সেলফি তোলেন এবং তা হোয়াটসঅ্যাপে স্ট্যাটাস হিসেবে আপলোড করেন। তার দাবি, শ্রীপ্রিয়া তাকে ‘প্রতারণা’ করেছিলেন এবং অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল- এ অভিযোগই নৃশংসতার কারণ।
ঘটনার সময় হোস্টেলের নারী বাসিন্দারা আতঙ্কে বাইরে বেরিয়ে আসেন। বালামুরুগান ঘটনাস্থলেই অবস্থান করছিলেন। পরে পুলিশ এসে তাকে আটক করে এবং হত্যায় ব্যবহৃত কাস্তে জব্দ করে।
এই বর্বর হত্যাকাণ্ড পুরো তামিলনাড়ু রাজ্যে নারীর নিরাপত্তা নিয়ে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। বিরোধী দলগুলো অভিযোগ তুলেছে, ডিএমকে সরকার আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়েছে এবং নারীরা নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তবে সরকার ও পুলিশ দাবি করেছে। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং যেকোনো অপরাধের ব্যাপারেই দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।