শুধু ক্লাব পারফরম্যান্স দেখলেও এমবাপ্পের দুর্দান্ত ফর্ম চোখে পড়ে। রিয়ালের হয়ে তিনি ২০২৫ সালে খেলেছেন ৫৪ ম্যাচ; গোল করেছেন ৫৩টি। চলতি মৌসুমে রিয়ালের মোট গোলের ৫৬ শতাংশই এসেছে এমবাপ্পের কাছ থেকে। ফ্রান্সের হয়ে এ বছর তার গোল ৭টি।
ডিসেম্বরে সামনে আছে আরও ৫টি ম্যাচ। এই পাঁচ ম্যাচে অন্তত ৭ গোল করতে পারলে এমবাপ্পে ২১ শতকে এক পঞ্জিকাবর্ষে ক্লাবের হয়ে সর্বাধিক গোলদাতাদের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসবেন। বর্তমানে ৫৯ গোল নিয়ে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো আছেন দুইয়ে। এমবাপ্পে ৬০ গোল করলে রোনালদোর রেকর্ড পেছনে ফেলবেন। তবে ক্লাব ফুটবলে এক বছরে মেসির অবিশ্বাস্য ৭৯ গোল ছোঁয়া এমবাপ্পের জন্য প্রায় অসম্ভব—সেক্ষেত্রে তাকে ৫ ম্যাচে করতে হবে ২৭ গোল।
সবচেয়ে বেশি গোলের তালিকায় এমবাপ্পের পেছনে আছেন হ্যারি কেইন। তার গোল সংখ্যা এখন ৪২, অর্থাৎ এমবাপ্পের চেয়ে ১১ কম। নাটকীয় কিছু না ঘটলে কেইনের পক্ষে এমবাপ্পেকে ছাড়িয়ে যাওয়া কঠিন।
ক্লাব ও জাতীয় দলের গোল মিলিয়ে এমবাপ্পে এখন ৬০-গোল ক্লাবে প্রবেশ করেছেন, যেখানে আগে ছিলেন শুধু মেসি, রোনালদো ও লেভানডফস্কি। এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ গোলের রেকর্ড মেসির (৯১)। এরপর মুলার (৮৫) ও পেলে (৭৫)। আগামী ৫ ম্যাচে এমবাপ্পে যদি অন্তত ১৫ গোল করেন, তবে পেলেকে ছুঁতে পারবেন। আর ১০ গোল পেলেই তিনি রোনালদো ও লেভানডফস্কিকে পেছনে ফেলবেন।