ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সোমবার (১ ডিসেম্বর) আদালতে হাজিরা দেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনুরোধের পর তিনি ইসরায়েলি প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হেরজগের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিলেন। এই অনুরোধ তাকে সব দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দিতে প্রেরিত হয়েছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এ খবর প্রকাশ করেছে।
নেতানিয়াহুর বিরোধীরা ক্ষমার আবেদনকে ন্যায়সঙ্গত মনে করছেন না। কেউ বলেন, ক্ষমা দেওয়া হলে নেতানিয়াহুকে আগে দোষ স্বীকার করে রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। অন্যরা যুক্তি দেন, ক্ষমার আগে জাতীয় নির্বাচন ডাকা প্রয়োজন, যা ২০২৬ সালের অক্টোবরের মধ্যে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট বলেছেন, নেতানিয়াহু যদি রাজনীতি থেকে সরে দাঁড়ান, তবে তিনি বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের পক্ষে থাকবেন এবং দেশের বিশৃঙ্খলা কমবে।
নেতানিয়াহু ইসরায়েলের ইতিহাসে দীর্ঘতম মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। ২০১৯ সালে ঘুষ, জালিয়াতি ও বিশ্বাসভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হন। বিচার কার্যক্রম শুরু হয় ২০২০ সালে, কিন্তু তিনি সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তার আইনজীবীরা জানান, বিচার শেষ হলে নেতানিয়াহু সম্পূর্ণ খালাস পাবেন।
সোমবার তেল আবিব আদালতের বাইরে একটি ছোট বিক্ষোভ হয়। কেউ কেউ কমলা রঙের কারাগারের পোশাক পরে নেতানিয়াহুকে কারাগারে পাঠানোর দাবি জানান। বিক্ষোভকারীদের একজন, ইলানা বারজিলাই বলেন, দোষ স্বীকার না করেই ক্ষমা গ্রহণযোগ্য নয়।
রবিবার নেতানিয়াহুর আইনজীবীরা প্রেসিডেন্ট হেরজগকে চিঠি পাঠিয়ে জানান, আদালতে ঘনঘন হাজিরা দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর শাসন কার্যক্রমে বাধা সৃষ্টি করছে। তারা যুক্তি দেন, ক্ষমা দেশটির জন্যও উপকারী হবে।
ইসরায়েলে সাধারণত দণ্ড ঘোষণার পরই ক্ষমা দেওয়া হয়; বিচার চলাকালীন ক্ষমার নজির নেই। প্রেসিডেন্ট হেরজগ মন্তব্য করেছেন, ক্ষমার আবেদন দেশজুড়ে বিতর্ক সৃষ্টি করেছে এবং তিনি শুধুমাত্র ইসরায়েলের সর্বোত্তম স্বার্থ বিবেচনা করবেন।