গতকাল থেকেই সারা দেশে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছিল আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ শুক্রবার সকাল থেকেই সেই বৃষ্টির দেখা মিলল রাজধানীতে। সকাল ৬টা থেকে শুরু হয়ে ৯টা পর্যন্ত ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টির রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ তরিফুল নেওয়াজ কবির বলেন, ‘আজ সারা দিন কম-বেশি বৃষ্টি হবে। তবে আগামীকাল থেকে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসবে।’
তিনি আরও বলেন, বৃষ্টিপাতের প্রবণতা কমে আসলে স্বাভাবিকভাবে তাপমাত্রা একটু বেড়ে যাবে। সামনের সপ্তাহে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তি থাকবে। এতে করে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হবে।
ভোর থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় তীব্র জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। এতে করে বিপাকে পড়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া পরীক্ষার্থীসহ সাধারণ মানুষ। টানা বৃষ্টির কারণে সড়কে কোথাও হাঁটুপানি, কোথাও কোমরসমান পানি জমেছে। পথচারীদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
প্রচণ্ড বৃষ্টিতে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ডুবে গিয়ে রাস্তায় অনেক গাড়ি বিকল হয়ে যানজটের সৃষ্টি করেছে। এজন্য রাজধানীবাসীকে বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য সময় হাতে নিয়ে বের হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছে ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ।
এলাকাগুলো হলো: ফকিরাপুল, নয়াপল্টন, বায়তুল মোকাররম, শান্তিনগর, মালিবাগ মোড়, আরামবাগ, প্রগতি সরণি, নিউ মার্কেট, ধানমন্ডি রাপা প্লাজা, বংশাল, মিরপুর রোকেয়া সরণি, দয়াগঞ্জ মোড়, সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল, নিমতলী, টয়েনবি সার্কেল রোড, ধানমন্ডি ২৭, এলিফ্যান্ট রোড, মৎস্যভবন, কাওরান বাজার, বিজয় সরণি, ঢাকা গেট ভিআইপি রোড, মিরপুর মাজার রোড।
ছুটির দিন শুক্রবার যানবাহন কম থাকায় ভিজে ভিজেই গন্তব্যে যাচ্ছেন অনেকে। কেউ কেউ ছাতা ব্যবহার করলেও তুমুল বৃষ্টিতে ভিজে একাকার। এছাড়া হাঁটুপানি পেরিয়েই গন্তব্যে পৌঁছাচ্ছেন অনেকেই। ভোর ৬টা থেকেই ঢাকায় ঝুম বৃষ্টি শুরু হয়েছে। থেমে থেমে এই বৃষ্টি চলছে। কারওয়ান বাজার, শাহজাহানপুর, মালিবাগ রেলগেট, মৌচাক, মগবাজার, পশ্চিম তেজতুরী বাজার, তেজকুনি পাড়া, ধানমন্ডিসহ, পশ্চিম শ্যাওড়াপাড়ার বর্ডারবাজার, দক্ষিণ মনিপুরের মোল্লাপাড়াসহ রাজধানীর অনেকে রাস্তায় এরই মধ্যে পানি জমে গেছে।
মগবাজার এলাকায় সরেজমিনে দেখা গেছে, প্রতিটি অলি-গলিসহ মূল সড়কেও হাঁটু পরিমাণ পানি জমেছে। এদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় রাস্তায় তুলনামূলক মানুষজন কম দেখা গেছে।
বেশি বিপাকে পড়েছেন ১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষায় অংশ নেওয়া চাকরিপ্রার্থীরা। ইমরান খান নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, সকাল ৯টা থেকে পরীক্ষা শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অনেকেই যথাসময়ে বাসা থেকে বের হতে পারেননি। এদিকে রাস্তায় তেমন বাস চলাচল করছে না। এই সুযোগে সিএনজি-রিকশাচালকরা ভাড়া দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিয়েছেন। বাধ্য হয়ে বেশি ভাড়ায় গন্তব্যে যেতে হচ্ছে।
এক পথচারী বলেন, অফিসের উদ্দেশে বের হয়েছিলাম। এখন তো দেখি রাস্তায় কোমরসমান পানি। হেঁটে যে অফিসে যাবো, সেই উপায়ও নেই। এদিকে ১০০ টাকার সিএনজি ভাড়া ৩০০ টাকা নিচ্ছে।