ফেসবুকে নিত্যপণ্যের ‘সেনাবাহিনীর নির্ধারিত দর’ বলে একটি তালিকা ছড়িয়ে পড়েছে। সেই তালিকায় বিশ্বাস করে বাজারে গিয়ে হতাশ হয়ে ফিরেছেন অনেক ক্রেতা।
রুমানা রুমা নামে এক ক্রেতা জানান, এই তালিকার দামের সঙ্গে বাজারদরের কোনো মিল নেই। এ নিয়ে বাজারে ক্রেতা বিক্রেতাদের মধ্যে তর্কাতর্কিও হচ্ছে। দাবি করা হয়েছে, আলুর দর ৪০ টাকা, পেঁয়াজ ৭০ টাকা, গরুর মাংস ৬৫০ টাকা, খাসির মাংস ৮৫০ টাকা ও ব্রয়লার মুরগির দর ঠিক করা হয়েছে ১৪০ টাকা কেজি।
খাসির মাংস কিনতে তেঁজকুনিপাড়া বাজারে গিয়েছিলেন সীমা হালদার নামে এক ক্রেতা। কিন্তু গিয়ে দেখেন দাম ১১০০ টাকা, পরে আধা কেজি কিনেই ফিরতে হয়েছে। তিনি বলেন, “ফেসবুকে দাম কমার তথ্য কারা ছড়ায় বা কেন ছড়ায় সেটা বুঝলাম না। এখন বুঝলাম দাম কমার প্রচারণা গুজব।”
এভাবে আরও অনেকেই কারওয়ান বাজারে গিয়ে এভাবে ধোঁকা খেয়েছেন। পাইকারি দরেই পাঁচ কেজি আলু কিনতে হয়েছে ২৮০ টাকায়, যা কেজিতে পড়েছে ৫৬ টাকা। এক ক্রেতা বলেন বলেন, “অনেকের পোস্ট দেখছিলাম দাম কমেছে। আলুর দাম ৪০ এ নেমেছে। কিন্তু বাজার সেই আগের মতই আছে। মনে হচ্ছে ছাত্রদের আন্দোলন করে এবার বাজার নিয়ন্ত্রণ করা লাগবে। না হয় ব্যবসায়ীরা দাম কমাবে না।”
ক্রেতাদের সঙ্গে বাজারে তর্কাতর্কি হচ্ছে বিক্রেতাদের। ক্রেতারা ফেইসবুকে প্রচারিত মূল্যে কিনতে চাইছেন। কিন্তু বিক্রেতাদের দাবি, তারা পাইকারিতেই কিনেছেন এর চেয়েও অনেক বেশিতে।
তেজকুনিপাড়া এলাকায় এক মুদি দোকানি বলেন, “পণ্যের দাম কমেছে এসব কথাবার্তা ফেইসবুক নাকি উড়তেছে। কাস্টমাররা আইসা তর্ক করে। কয় আমিই নাকি দাম বেশি চাই। আসলে দাম তো কমেই নাই।”
ফেসবুকে যেসব পোস্ট ছড়িয়ে পড়েছে, তার একটিতে বরিশালে সেনাবাহিনীর মোবাইল নম্বরও দেওয়া আছে। সেই নম্বরে কল করা হলে নিজেকে ক্যাম্প কমান্ডার মেজর রাশেদ পরিচয় দিয়ে একজন বলেন, “বাজারের মূল্য তালিকা নিয়ে যে পোস্টার হয়েছে তা আমরাও শুনেছি। তবে দ্রব্যমূল্যের তালিকা এটা আমাদের দেওয়া না।”
তিনি বলেন, “আমার নম্বর তো অনেকের কাছেই আছে। যারা এই কাজটা করেছে তারা আমার নম্বরটা এখানে দিয়ে দিয়েছে।”