শনিবার ২৮ জুন ২০২৫ ১৪ আষাঢ় ১৪৩২
শনিবার ২৮ জুন ২০২৫
উচ্চ খেলাপী ঋণ ব্যবসার পরিবেশ সংকুচিত করছে: ঢাকা চেম্বার
অর্থনীতি প্রতিবেদক
প্রকাশ: শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫, ৭:৫১ PM
ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘ব্যাংক খাতের বিদ্যমান চ্যালেঞ্জ: ঋণ গ্রহীতার প্রেক্ষিত’ শীর্ষক সেমিনার ডিসিসিআই অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হয়। 

প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী (অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়) ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক (মুদ্রানীতি বিভাগ) ড. মোঃ ইজাজুল ইসলাম উক্ত অনুষ্ঠানে যথাক্রমে প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।  

অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ বলেন, শিল্পায়ন ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনে ব্যাংকখাতের ভমিকা অনস্বীকার্য হলেও আমাদের সামগ্রিক আর্থিকখাত নানাবিধ প্রতিবন্ধকতায় জর্জরিত, যার উত্তরণে এখাতে আমূল কাঠামোগত সংষ্কারের কোন বিকল্প নেই। 

তিনি উল্লেখ করেন, চলতি বছরের মধ্যমেয়াদে খেলাপী ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪.২ লাখ কোটি টাকা, এটি মোট অনাদায়ী ঋণের ২৪ শতাংশের বেশি, এ অবস্থা আর্থিক খাতের অব্যবস্থাপনারই প্রতিফলন, পাশাপাশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে স্থানীয় ও বিদেশি বিনিয়োগে। উদ্যোক্তাদের আস্থার অভাব, আর্থিক খাতে অস্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা ও খেলাপী ঋণ আদায়ের ধীরগতি প্রভৃতি বিষয়সমূহ আমাদের শিল্প উৎপাদন, বিশেষকরে এসএমইখাতকে মারাত্নকভাবে প্রভাবিত করছে, সেই সাথে বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ ৭.৫ শতাংশে নেমে আসার এবং ১০%-এর বেশি মূল্যস্ফীতির হার বিদ্যমান অবস্থাকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে বলে মত প্রকাশ করেন তাসকীন আহমেদ। 

এমতাবস্থায় উদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরিয়ে আনা, বেসরকারিখাতে ঋণ প্রবাহ বাড়নোর মাধ্যমে একটি সহায়ক ব্যবসায়িক পরিবেশে নিশ্চিতের লক্ষ্যে মুদ্রানীতির পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য নীতিমালার মধ্যকার কার্যকর সমন্বয় ও বাস্তবায়নের আহ্বান জানান ডিসিসিআই সভাপতি।  

স্থানীয় ও  বৈশ্বিক বর্তমান পরিস্থতি বিবেচনায় দেশের  দীর্ঘমেয়াদী ঋণ ও জমাকৃত সুদের পরিশোধে ৭ বছরের মেয়াদের সময়সীমা আরো ১ বছরের গ্রেস পিরিয়ড অন্তর্ভুক্ত থাকার প্রস্তাব করেন তাসকীন আহমেদ, সেই সাথে চলমান ঋণ শ্রেণিকরনের সময়সীমায় ৬ মাসের বর্ধিত করার আহ্বান জানান, যেন বেসরকারিখাত কার্যকর পুনঃরুজ্জীবন কৌশল গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সক্ষম হয়।          
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে ড. আনিসুজ্জামান চৌধুরী আর্থিক খাতের ঋণ দাতা ও গ্রহীতা উভয়কেই দায়িত্বশীল হতে হবে বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, আমাদের অবশ্যই আনুষ্ঠানিক খাতকে রক্ষা করতে হবে, তা না হলে অনানুষ্ঠানিক খাতের উন্নয়ন বাধাগ্রস্থ হবে। সামষ্টিক অর্থনীতির স্থিতিশীলতার স্বার্থে আর্থিক ও মুদ্রানীতির মধ্যে সমন্বয়ের উপর তিনি জোরারোপ করে। সেই সাথে তিনি আর্থিক খাতের সংষ্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট নীতির সমন্বয় ও নীতির অন্তর্ভূক্তির প্রস্তাব করেন। 

তিনি বলেন, বিদ্যমান পরিস্থতিতেও ভালো অবস্থায় থাকা ব্যাংকগুলো চাইলেই সুদের হার কিছুটা হলেও কমাতে পারে, যার ফলে ঋণ গ্রহীতারা বিশেষকরে এসএমই উদ্যোক্তারা কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন।   

বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ড. মোঃ ইজাজুল ইসলাম বলেন, বিগত সময়ে আমাদের আর্থিক খাতের প্রতিষ্ঠানগুলোকে বিশেষকিছু পরিবারের মধ্যে কুক্ষিতগত করা হয়েছিল, যার ফলে এখাতে অস্বচ্ছতা ও অস্থিতিশীলতা পরিলক্ষিত হয়েছে। 

তিনি বলেন, জুলাই-আগস্টের পট-পরিবর্তনের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভের স্থিতিশীলতা ও মুদ্রা বিনিময় হার বাজার ভিত্তিক করার পর উদ্যোক্তাদের আস্থা ফিরে আসতে শুরু করেছে, এর সুফল বিশেষকরে দেশের বেসরকারিখাত দেখতে পাবে। 

তিনি বলেন, আর্থিক খাতের বিদ্যমান অস্থিতিশীল পরিস্থিতি মোকাবেলায় বেশকিছু নীতিমালা সংষ্কারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা স্থিতিশীলতা আনায়নে সহায়তা করবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিদ্যমান পরিস্থিতিতেও বেশকিছু ব্যাংক বেশ ভালো ভাবে ব্যবসা পরিচালনা করছে, যদিও তাদের ঋণের সুদের হার অনেক বেশি এবং ব্যাংকগুলো চাইলে তা হ্রাস করতে পারে, ফলে উদ্যোক্তাবৃন্দ আরো স্বস্থিতে ব্যবসায়িক কার্যক্রম পরিচালনা করতে সক্ষম হবেন। 

তিনি জানান, গত বছরের আগস্টের পর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ হতে প্রথম ধাপে ২৩ হাজার কোটি টাকা এবং পরবর্তীতে ১৯ হাজার কোটি টাকা প্রদান করা হয়েছে, এর মাধ্যমে বেসরকরিখাতে ঋণ প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে। তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, মুদ্রা বিনিময় হারে স্থিতিশীলতা আসলে সামগ্রিক মূল্যস্ফীতিও নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে, সেই সুদ হার বাজার ভিত্তিক করতে হবে।      

অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা চেম্বারের সদ্য প্রাক্তন সভাপতি ও পরিচালক আশরাফ আহমেদ। তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে অর্থীনীতিকে বেশকিছু চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে, তার মধ্যে, টাকার অবমূল্যায়ন, ডলারের মূল্যবৃদ্ধি, সরবরাহ ঘাটতি, আমদানি নিষেধাজ্ঞা, মূল্যস্ফীতি, উচ্চ সুদহার, বেসরকারিখাতে অপ্রতুল ঋণ প্রবাহ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য। কেবলমাত্র অদক্ষতার কারণেই আন্তর্জাতিক বাজার হতে অতিরিক্ত দরে জ্বালানি ক্রয় করতে হচ্ছে এবং শিল্প উদ্যোক্তাদের এর জন্য উচ্চ মূল্য প্রদান করতে হচ্ছে। এছাড়াও প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের অভাবে শিল্পের উৎপাদন ৫০% হ্রাস পেয়েছে, যদিও জ্বালানি সরবারাহ নিশ্চিত করা গেলে পণ্য উৎপাদন দ্বিগুণ করা সম্ভব ছিল বলে তিনি উল্লেখ করেন। 

তিনি আরো বলেন, ২০২৫ সালে ঋণের সুদ হার গড়ে ৯ হতে ১৪% উন্নীত হওয়ার কারণে বেসরকারিখাতকে ১.৩৯ ট্রিলিয়ন টাকা অতিরিক্ত সুদ হিসেবে পরিশোধ হবে। আশরাফ আহমেদ বলেন, ক্রমাবর্ধনমান খেলাপী ঋণের কারণে শিল্পখাতে ঋণ প্রবাহ সংকুচিত হয়, বিনিয়োগ হ্রাস পায়, ফলে বেসরকারিখাত ক্রমাগত দূর্বল হয়ে পড়ছে। 

তিনি বলেন, দেশের ১৪টি ব্যাংকের খেলাপী ঋণের পরিমাণ প্রায় ৪০%, অন্যদিকে ভাল ব্যাংক হিসেবে অবশিষ্ট ৪৭টি ব্যাংকে যার পরিমাণ মাত্র ৫-৭% তাই এই সমস্যা কেবলমাত্র আর্থিক খাতের উপর দেয়া ঠিক হবেনা। 

আশরাফ আহমেদ বলেন, বেসরকারিখাতের উত্তরণের জন্য ঋণের পুণঃতফসিল ও পুণঃগঠনের সুযোগ থাকা বাঞ্চনীয়। এছাড়াও ব্যাংকখাতে সুশাসন নিশ্চিতকরণে ব্যাংক প্রশাসনের কাঠামোগত সংষ্কারের কোন বিকল্প নেই বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ২০২২-২৫ সময়কালে কঠোর মুদ্রানীতির কারণে বর্তমানে প্রায় ৩১.৮% আমদানি সক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে শিল্পখাতে।                   

এছাড়াও সেমিনারের নির্ধারিত আলোচনায় আনোয়ার গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজের গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ঢাকা চেম্বারের প্রাক্তন সভাপতি হোসেন খালেদ, বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অব ব্যাংকস (বিএবি)-এর চেয়ারম্যান আব্দুল হাই সরকার, বিকেএমই’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক পিএলসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মতিউল হাসান এবং র্যাংগস মটরস লিমিটেড’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক সোহানা রউফ চৌধুরী অংশগ্রহণ করেন। 

হোসেন খালেদ বলেন, এসএমইরা আমাদের মূল চালিকা শক্তি এবং বড় উদ্যোক্তদের সাপ্লইচেইনের অন্যতম অংশীদার, ফলে বৃহৎ শিল্প উদ্যোক্তারা ক্ষতিগ্রস্থ হলে, ব্র্যাকওয়ার্ড লিংকেজে এসএমইদের উপর এর প্রভাব পড়বে। তিনি বলেন, ঋণ দেওয়ার ক্ষেত্রে গতানুগতিক ব্যাংক-ঋণ গ্রহীতার সম্পর্কের চাইতে ব্যাংকগুলেকে তার গ্রহীতার সাথে অংশীদারিত্বপূর্ণ সম্পর্কের উপর জোর দিতে হবে। 

তিনি আরো বলেন, খোলাপী ঋণ বৃদ্ধির কারণে চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যকার ব্যবধান ক্রমশই বাড়ছে, যা অব্যাহত থাকলে আগামীতে কারখানা চালুর রাখাই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়বে। একই সাথে বেসরকারিখাতে নেতিবাচক ঋণ প্রবাহের কারণে অর্থনীতি সংকুচিত হয়ে আসবে বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন।  

আব্দুল হাই সরকার বলেন, আইএমএফ সহ আন্তর্জাতিক দাতাসংস্থাগুলোর সাথে সরকারের যোগাযোগ থাকলেও বেসরকারিখাতের সাথে তাদের সম্পর্ক ততটা সুদৃঢ় নয়, ফলে অনেকক্ষেত্রে তারা ব্যবসা ও বিনিয়োগের প্রকৃত পরিস্থিতি সম্পর্কে অবগত থাকেন না। 

তিনি বলেন, সরকারের দূর্বল নীতির কারণে খেলাপী ঋণ ক্রমাগত বাড়ছে এবং খেলাপী ঋণ আদায়ের হারও বেশ স্লথ। এছাড়াও প্রয়োজনের তুলনায় অর্থঋণ আদালতের সংখ্যা কম থাকায় এক্ষেত্রে আইনী প্রক্রিয়া পরিচালনায় দীর্ঘসূত্রিতা পরিলক্ষিত হচ্ছে। খেলাপী ঋণ হ্রাসের লক্ষ্যে সরকারের নীতিনির্ধারক ও বাস্তবায়নকারী সংস্থাগুলোর মধ্যকার সমন্বয় আরো বাড়নো প্রয়োজন বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। এছাড়াও সামগ্রিক বিনিয়োগ পরিস্থিতিতে যদি স্থানীয় উদ্যোক্তারা স্বস্তি না পান, তাহলে বিদেশি বিনিয়োগ প্রাপ্তি বেশ কষ্টসাধ্য হবে বলে তিনি অভিমত জ্ঞাপন করেন।   

বিকেএমই’র নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, ভালো ঋণ গ্রহীতারা আর্থিক খাত হতে প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। তিনি উল্লেখ করেন, ডলারের রেট বৃদ্ধি হলেও উদ্যোক্তাদের ব্যাংক ক্রেডিট না বাড়ার কারণে বিশেষকরে এসএমইরা প্রয়োজনীয় ঋণ সুবিধা প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হচ্ছেন। 

সোহানা রউফ চৌধুরী বলেন, ব্যবসায়ীদের সমস্যার অন্ত নেই এবং উৎপাদন খাতে এতবেশি সুদ হার দিয়ে টিকে থাকাই কষ্টকর হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যাংক ঋণের পরিশোধের সময়সীমা বাড়ানোর উপর তিনি জোরোপ করেন। সেই সাথে স্থানীয় ভাবে যারা বৈদ্যুতিক গাড়ি উৎপাদনে আগ্রহী একটি স্বল্পসুদের তহবিল নিশ্চিত করতে পারলে এখাতে কাঙ্খিত উন্নয়ন আশা করা যায় বলে তিনি মত প্রকাশ করেন। 

মতিউল হাসান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে ব্যাংক খাত সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এর প্রভাব পড়ছে সামগ্রিক অর্থনীতিতে। খেলাপী ঋণ আদায়ে সরকারি-বেসরকারিখাতের যৌথ উদ্যোগে এ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট কোম্পানী প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে কার্যকর উদ্যোগ গ্রণের প্রস্তাব করেন, যার মাধ্যমে ব্যাংকসমূহ কিছুটা হলেও খেলাপী ঋণ আদায়ে সক্ষম হবে। শিল্পখাতে প্রয়োজনীয় গ্যাস সরবরাহের অভাবে উৎপাদন ক্রমাগত ব্যাহত হচ্ছে, ফলে অনেক উদ্যোক্তাই খেলাপী ঋণে পড়তে পারেন, তাই সরকারকে এ বিষয়ে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।   

ডিসিসিআই ঊর্ধ্বতন সহ-সভাপতি রাজিব এইচ চৌধুরী, সহ-সভাপতি মোঃ সালিম সোলায়মান সহ পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারবৃন্দ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
« পূর্ববর্তী সংবাদপরবর্তী সংবাদ »







  সর্বশেষ সংবাদ  
  সর্বাধিক পঠিত  
এই ক্যাটেগরির আরো সংবাদ
সম্পাদক ও প্রকাশক:
মো. আশরাফ আলী
কর্তৃক এইচবি টাওয়ার (লেভেল ৫), রোড-২৩, গুলশান-১, ঢাকা-১২১২।
মোবাইল : ০১৪০৪-৪০৮০৫২, ০১৪০৪-৪০৮০৫৫, ই-মেইল : thebdbulletin@gmail.com.
কপিরাইট © বাংলাদেশ বুলেটিন সর্বসত্ত্ব সংরক্ষিত