সপ্তাহ ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগি ও ডিমের দাম বেড়েছে। আগের সপ্তাহের তুলনার ব্রয়লার কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
নতুন আলু ও পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। আর শীতকালীন সবজি ও মাছের বাজার স্থির। শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তালতলা ও শেওড়াপাড়া বাজার ঘুরে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার মুরগি ১৯০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে ব্রয়লারের কেজি ছিল ১৮০ টাকা। কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৩০০ টাকায় বিক্রি সোনালি মুরগি।
তালতলা বাজারে মুরগি বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের ব্রয়লার মুরগি ১৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করেছি। আগের সপ্তাহে ১৭০ টাকা করে বিক্রি করেছিলাম। চলতি সপ্তাহে ব্রয়লার ১৯০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
তিনি বলেন, ক্রমাগত মুরগির দাম বাড়ছে। শুধু ব্রয়লার নয় সোনালি, সোনালি হাইব্রিড ও লেয়ার মুরগিরও বাজারও চড়া। আমরা সোনালি ৩০০ টাকা, সোনালি হাইব্রিড ২৯০ টাকা, দেশি মুরগি ৫০০ থেকে ৫২০ টাকা কেজি, লেয়ার ২৯০ টাকা দরে বিক্রি করছি।এসব বাজারে শীতকালীন সবজির দাম স্থিতিশীল রয়েছে। তবে নতুন আলু আর হঠাৎ বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দাম কিছুটা কমেছে। দেশি নতুন পেঁয়াজের সরবরাহ ভালো হওয়ায় দাম কমতে শুরু করেছে।
এ নিয়ে তালতলা সড়কে বসা ভ্রাম্যমাণ বাজারের আলু-পেঁয়াজ বিক্রেতা হারুন বলেন, শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাজারে প্রচুর নতুন আলু ও পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে। গত সপ্তাহের তুলনায় নতুন আলুর দাম কেজিতে ২০ টাকা কমেছে। একই সঙ্গে অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়া পেঁয়াজের দামও কমতে শুরু করেছে।
বাজারগুলোতে প্রতি কেজি মুলা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। শিম ৫০ থেকে ৭০ টাকা, ফুলকপি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, বাঁধাকপি ৪০ থেকে ৬০ টাকা, পাকা টমেটো প্রকারভেদে ৮০ থেকে ১২০ টাকা, কাঁচা টমেটো ৬০ টাকা, কচুরমুখী ৭০ টাকা এবং গাজর ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
শুক্রবার এসব বাজারে বেগুন ৫০ থেকে ৮০ টাকা, করলা ৬০ টাকা, ঢেঁড়স ১০০ টাকা, পটল ৬০ টাকা, বরবটি ১০০ টাকায়, ধুন্দল ৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৫০ টাকা, শসা ৬০ থেকে ৭০ টাকা, লাউ প্রতিটি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, পেঁপে প্রতি কেজি ৩০ টাকা, লেবুর হালি ২০ থেকে ৪০ টাকা, ধনে পাতা ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, কলার হালি ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
জালি কুমড়া ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার কেজি ৪০ থেকে ৫০ টাকা, আলু ৫০ টাকা, নতুন আলু ৬০ টাকা, নতুন উঠা দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ টাকা, ভারতীয় পেঁয়াজ ১১০ টাকা দরে, পেঁয়াজের কলি ৬০ টাকা ও কাঁচা মরিচ ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। বাজারগুলোতে লাল শাকের আঁটি ১০ টাকা, লাউ শাক ৩০ টাকা, মুলা শাক ১০ টাকা, পালং শাক ১৫ টাকা, কলমি শাক ৮ টাকা আঁটি দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে।
আর বাজারগুলোতে এক ডজন লাল ডিম ১৩০ টাকা, হাঁসের ডিম ২০০ টাকা, দেশি মুরগির ডিমের হালি ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আগের সপ্তাহে লাল ডিম ১২০ টাকা ডজন বিক্রি হয়েছিল।
বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৫৮০ থেকে ৬৫০ টাকা এবং খাসির মাংসের কেজি ১ হাজার ৫০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা।
গরুর মাংসের দাম কিছুটা কম থাকায় মাছের বাজার স্থির রয়েছে। শুক্রবার ৪০০ গ্রাম আকারের ইলিশ মাছের কেজি ৭০০ টাকা, চাষের শিং (আকারভেদে) ৩০০ থেকে ৫০০ টাকা, রুই (আকারভেদে) ৪০০ থেকে ৫৫০ টাকা, মাগুর ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা , মৃগেল ৩০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, পাঙাশ ২০০ থেকে ২২০ টাকা, চিংড়ি ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, বোয়াল ৪০০ থেকে ৯০০ টাকা, কাতল ৪০০ থেকে ৬০০ টাকা, পোয়া ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা, পাবদা ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, তেলাপিয়া ২২০ টাকা, কই ২২০ থেকে ২৩০ টাকায়, মলা ৫০০ টাকা, বাতাসি টেংরা ৯০০ টাকা, টেংরা ৬০০ থেকে ৭০০ টাকা, কাচকি ৬০০ টাকায়, পাঁচমিশালি মাছ ২২০ টাকা, রূপচাঁদা ১ হাজার টাকা, বাইম ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা, দেশি কই ১ হাজার টাকা, শোল ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, আইড় ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং কাকিলা মাছ ৬০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।